অরিত্র দত্ত বণিক (Aritra Dutta Banik), অর্থাৎ বাংলার ইন্ডাস্ট্রির পাকা ছেলে। এতদিন দর্শকদের কাছে তাঁর এমনই এক ধরনের ইমেজ ছিল। একেবারে ছোটো থেকেই অভিনয় জগতের সাথে যুক্ত অরিত্র। আর শুরু থেকেই মজার ,মজার চরিত্রে অভিনয় করতে, করতে শিশু শিল্পী হিসাবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় অরিত্র। সেসময় বেশীরভাগ সিনেমাতেই নায়ক , নায়িকাদের প্রেমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যেত তাঁকে। এছাড়াও রিয়ালিটি শোতে অ্যাঙ্কারিং করেও জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি।
তবে একটা সময় অরিত্রের মনে হয় তিনি যে চরিত্রই করছেন তাতেই দর্শকদের হাসি পাচ্ছে। তাকেই হাসির পাত্র মনে করছেন দর্শকরা। তাই তিনি ঠিক করেন কিছুদিন অভিনয় থেকে বিরতি নেবেন তিনি। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘আমি একই ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাচ্ছিলাম। ‘পাকা বাচ্চা’, যে নায়ক-নায়িকার মধ্যে প্রেম করিয়ে দিচ্ছে। একটু বড় হওয়ার পরেও দেখলাম দর্শকরা আমাকেই হাসির বস্তু হিসেবে দেখছেন। তাই মনে হলো বিরতি নিই।’
তবে এখন আর অরিত্র আর বাচ্চা নেই। জানা গেছে ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সোশিওলজি নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন তিনি। আর এখন মিডিয়া সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করার পাশাপাশি কাজও করছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অরিত্রর সমস্ত অপেক্ষার অবসান হয়েছে। টলিউডের পাশাপাশি এবার তিনি পাড়ি জমিয়েছেন বলিউডেও।
একটি ওয়েব সিরিজের (Web Series) হাত ধরেই বলিউডে (Bollywood) প্রথম ডেবিউ করেছেন অরিত্র। খুব শিগগির তাঁকে দেখা যাবে একটি জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের হিন্দি সিরিজে। ৬০ দিনের অধিক সময় ধরে ইতিমধ্যেই মুম্বই, রাজস্থানের বিভিন্ন অংশে শুটিং শেষ করেছেন তিনি। আর শুটিং শেষে কেক কেটে সেটে যে ভাবে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো হল, তাতে আপ্লুত অরিত্র।বলিউডের প্রথম কাজ অরিত্রর কাছে ভীষণ স্পেশাল। তাই সেকথা জানাতে গিয়ে আজ একটু ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলেন অরিত্র।
ফেসবুকে কেক কাটার আগের মুহূর্তের ছবি শেয়ার করে একটি আবেঘন পোস্টে অরিত্র লিখেছেন, ‘অভিনেতা হিসেবে বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এটাই আমার প্রথম স্ক্রিন অ্যাপিয়ারেন্স। একমাত্র আমিই সেটে অভিনেতা এবং টেকনিশিয়ান, দুটো পরিচয় পত্র নিয়ে ঘুরছিলাম। আমার শুটিংয়ের শেষ দিন টেকনিশিয়ানরা ১৫ মিনিটের অফিশিয়াল ব্রেক ঘোষণা করেছিলেন। আমার শুটিং শেষ হওয়াটা কেক কেটে সেলিব্রেট করার জন্য এই ব্রেক। অনেক হাততালি, আশীর্বাদের মধ্যে দিয়ে কাটানো এই দিনটা সারাজীবন আমার সাথে থেকে যাবে। এই ওটিটি প্রজেক্টে আমাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রযোজক, পরিচালক, ট্যালেন্ট ম্যানেজার সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’