আজ লক্ষ লক্ষ মানুষের অনুপ্রেরণা সোনু সুদ (Sonu Sood)। আজ থেকে এক বছর আগেও তিনি ছিলেন রুপোলি পর্দার খলনায়ক। তবে করোনাকালে গত বছরের লকডাউন থেকেই গোটা দেশবাসীর কাছে তিনিই হয়ে উঠেছেন বাস্তবের সুপার হিরো( Super Hero)। গোটা দেশবাসীর কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন মসিহা (Masiha) হয়ে। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে, সাধ্যমতো তাঁদের সাহায্য করে ইতিমধ্যেই আর্তের ত্রাতা হয়ে উঠেছেন অভিনেতা।
গতবছর দেশজুড়ে লকডাউন (Lockdown) চলাকালীন অসহায় মানুষের দিকে ভগবানের মতোই বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কখনও ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিশেষ বাস, কিংবা ট্রেনের ব্যবস্থা করেছেন। আবার কখনও বিদেশি আটকে পড়া প্রবাসী ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে বিশেষ প্লেন। এছাড়াও অসংখ্য মানুষের জন্য মাস্ক,স্যানিটাজারের মতো প্রয়োজনীয় একাধিক স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা করে সকলের মনে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিয়েছেন রূপালী পর্দার এই খলনায়ক।
এভাবেই প্রতিনিয়ত সমাজসেবামূলক কাজ করে ইতিমধ্যেই অসংখ্য মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন তিনি।তাই আর পাঁচজন সেলিব্রেটিদের মতো রূপোলি পর্দায় পিছনে থেকে নয়, অসময়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি শুধুমাত্র ঘরের ছেলে হয়েই ওঠেননি,সেইসাথে গোটা দেশবিসীর কাছ হয়ে উঠেছেন মাসিহা। যা না চাইতেই তাঁকে দিয়েছে অসংখ্য মানুষের খাঁটি ভালোবাসা,শ্রদ্ধা আর আশীর্বাদ।
এবার বাস্তবের এই সুপার হিরোকে দেখা যাবে টেলিভিশনের পর্দায়। একটি আন্তর্জাতিক চ্যালেন তাঁকে নিয়ে শো করার কথা ভেবেছে। এবিষয়ে চ্যানেলের অফিশিয়াল পেজে জানানো হয়েছে, ‘ভারত সম্পর্কে কিছু অজানা কাহিনি জানুন। সোনুর থেকে শুনুন সবটা।’ জানা গেছে শোয়ের নাম ‘ইট হ্যাপেনস ওনলি ইন ইন্ডিয়া’। তারা শেয়ার করেছে একটি টিজার ভিডিও। আর এমন একটা খবর পাওয়ার পর এখন থেকেই প্রিয় সোনু সুদ কে টিভির পর্দায় দেখার অপেক্ষায় দিন গুনছেন সোনু ভক্তরা।
উল্লেখ্য ছোট থেকেই পরিবার, বাবা-মায়ের আদর্শে বড় হয়েছেন সোনু। সোনুর মা বিনা পারিশ্রমিকে শিশুদের পড়াতেন, আর দোকানের বাইরে লঙ্গরের ব্যবস্থা করতেন বাবা। এসব দেখেই ছোট থেকে বড় হয়েছেন সোনু। সোনুর মায়ের কথায় ‘কাউকে সাহায্য করতে না পারলে নিজেকে কোনওদিন সফল বলা উচিত নয়।’ এই মূল্যবোধ নিয়ে বড় হয়েছেন বলেই আজ দেশের অসংখ্য মানুষের মসিহা তিনি।