যেকোনো রান্নায় স্বাদ ফেরাতে জিরে অপরিহার্য। জিরে রান্নায় ব্যবহৃত অতি উপকারী একটি মশলা। কিন্তু আপনি কি জানেন? জিরে শরীরের জন্যও ভীষণ উপকারী। প্রতিদিন যদি নিয়মকরে জিরে ভেজানো জল খাওয়া যায় তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, অম্বল, হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
বিশেষত যে সমস্ত মহিলাদের পিরিয়ডের সময় প্রচন্ড ব্যথা হয় বা পিরিয়ড ভালো করে ক্লিয়ার হয়না তারা জিরে ভেজানো জলের সঙ্গে এক চামচ গুড় মিশিয়ে খেলে খুব সহজেই রক্ত বের হতে সাহায্য করবে। শুধু রান্না বা স্বাস্থ্য নয় উজ্জ্বল, ঝলমলে ত্বক এবং চুল পেতেও জিরে ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বকের যত্নে জিরে:
অ্যাকনে ও স্কিন র্যাশ দূর করতে:
পিম্পল ও স্কিন র্যাশ দূর করতে জিরের জুড়ি মেলা ভাড় । ভিনিগার এর মধ্যে এক চামচ জিরে একরাত্রি ভিজিয়ে রেখে পরদিন সেটা ভালো করে বেটে নিয়ে ব্রণের উপর লাগান৷ অথবা, ব্রণের যেখানে কালো দাগ হয়ে গেছে সেখানে তুলোর সাহায্যে এই মিশ্রণ লাগালে কিছুদিনের মধ্যেই দাগ হালকা হয়ে যাবে।
ট্যান রিমুভাল হিসেবে জিরে :
সূর্যের প্রখর তাপে অনেক সময় কালো দাগ পড়ে যায় এর থেকে বাঁচতে ১ চামচ জিরা গুঁড়ো, ২ চামচ টক দই ভালো করে মিশিয়ে নিন এই মিশ্রণটি ত্বকের উপরে ভালো করে লাগিয়ে বেশ খানিকক্ষণ রেখে দিন এবং কিছুক্ষণ পরে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন পরপরই করতে পারলে আপনার ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল হবে।
স্কিন টোনার:
বেশ খানিকটা জলের মধ্যে জিরে ফেলে দিয়ে এটি ১৫ মিনিট ধরে ফোটান। এরপর ওই মিশ্রণের সঙ্গে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের যত্নে জিরেঃ
যে কোনও তেলের মধ্যে কয়েকটি জিরে দিয়ে হালকা আঁচে গরম করুন। জিরে মেশানো তেল ঠান্ডা করে স্ক্যাল্পে মাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু করে নিন। খুশকি থেকে মুক্তি পাবেন।
চুল বৃদ্ধিতে:
গরম জলের মধ্যে বেশ এক চামচ জিরে দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে এই জলের মিশ্রণের সঙ্গে ডিমের কুসুম, টক দই দিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে নিন এটি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।