সোমবার প্রকাশিত হয়েছে করিনা কাপুর খানের (Kareena Kapoor Khan) লেখা প্রথম বই’প্রেগন্যান্সি বাইবেল’ (Pregnancy Bible)। তিনি নিজের প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডের অজানা অনেক গোপন রহস্য তুলে ধরেছেন। এই বই করিনার কাছে তাঁর তৃতীয় সন্তানের মতো। একথা আগেই জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ৪০ বছর বয়সে এসেও দ্বিতীয় সন্তানের জননী হয়েছেন নবাব ঘরণী। প্রেগন্যান্সি সাফল্যের পথে কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায় না এমনই একাধিক স্টিরিওটাইপ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন এই বলিউড ডিভা।
অভিনেত্রী, সঞ্চালিকার পর লেখিকা হিসাবে গতকাল ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বন্ধু করণ জোহরের (Karan Johar) সঙ্গে নিজের প্রথম বই প্রকাশ করেছেন নবাব বেগম। এদিনের সেই লাইভ আড্ডা সেশনে নিজের মুখেই জীবনের নানান অজানা রহস্য ফাঁস করেছেন অভিনেত্রী। সেসময় ‘প্রেগন্যান্সি বাইবেল’ বইতে নিজের প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডের অজানা অনেক ঘটনা শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। পাশাপাশি করিনা অকপটে জানিয়েছেন দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন যৌনতার প্রতি তাঁর আগ্রহ তলানিতে ঠেকেছিল।
তবে করিনা জানান তাঁর স্বামী সইফ আলি খান (Saif Ali khan) ভীষণ সাপোর্ট। তাই গোটা পরিস্থিতির সঙ্গেই তিনি খুব সহজে মানিয়ে নিয়েছিলেন বলে জানান করিনা। এদিন করণ কারিনাকে তাঁর বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি নিজেই জানিয়েছ যে কীভাবে তোমার যৌনতার প্রতি আগ্রহ তলানিতে ঠেকেছিল, এবং অন্তঃসত্ত্বা অবস্থার ওই দিনগুলোতে তোমার স্বামী সেটা খুব ভালোভাবে বুঝছিল। একজন মেয়ে যখন গর্ভবতী হয়, তখন ঠিক কী ভাবনা থাকে, এই সেক্স লাইফের ব্যাপারটা নিয়ে তোমার নিজের কি অনুভূতি?’
উত্তরে অকপটে করিনা জানিয়েছেন ‘একজন গর্ভবতী মা কখনই তাঁর নিজের মেজাজ বুঝতে পারে না। কখনও সবকিছুই খুব ভালো লাগে আবার কখনও কোনো কিছুই ভালো লাগে না। সেই সময় ওই মুডগুলো বুঝতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই যেমন আমি, কোনো কনো দিন নিজেকে ভীষণ সেক্সি অনুভব করতাম এবং আমি সইফকে সেটা জানাতাম, তখন ও ঘুরে আমায় বলতো, ‘তোমাকে সুন্দর লাগছে।’
View this post on Instagram
সেইসাথে করিনার আরও সংযোজন, ‘গর্ভাবস্থায়, একজন মহিলার অনুভূতিগুলিকে অন্য সব কিছুর উপরে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। এটি একটি এমন পর্যায় যেখানে সবকিছুই সেই মহিলার মত অনুযায়ী হতে হবে। একজন পুরুষের এই সময় সবথেকে বেশি সাপোর্টিভ হওয়া প্রয়োজন। যদি একজন স্বামী সেটা না বোঝেন, তাহলে তিনি কীভাবে কারও সন্তানের বাবা হবেন? যদি আপনার সেক্সের ইচ্ছে না হয়, সেটাও তাঁকে বুঝে নিতে হবে। এই বিষয়েও আমি বইতে লিখেছি কারণ বেশিরভাগ মহিলারা এসম্পর্কে কথা বলতে ভয় পান।’