চাইল্ড আর্টিস্ট হিসেবেই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন দেবশ্রী রায় (Debashree Roy)। ১৯৬৬ সালে হিরন্ময় সেনের পরিচালনায় পাগল ঠাকুর ছবি দিয়েই লাইট, ক্যামেরা অ্যাকশনের জগতে এসেছিলেন তিনি। তখন অবশ্য তিনি দেবশ্রী রায় হয়ে ওঠেননি। একদম ছোট বেলায় তিনি মঞ্চ অভিনয় করতেন চুমকি রায় নামে। পরবর্তীতে চুমকি থেকে হলেন রুমকি রায়। একসময় পরিচালক তরুণ মজুমদারের নজরে পড়ে যান তিনি। তিনিই তাঁর নাম নামকরণ করেন দেবশ্রী রায় নামে।
তবে রাজ্যজুড়ে দেবশ্রী রায়ের পরিচিতি শুধু অভিনেত্রী হিসাবেই গড়ে ওঠেনি সেইসাথে তিনি অসাধারণ একজন নৃত্যশিল্পী। নাচ আর রূপের জাদুতে একসময় গোটা বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে রাজ করতেন তিনি। পরে অবশ্য রাজনীতিতেও এসেছিলেন বাংলার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ২০১১-এর লোকসভা নির্বাচনে রায়দীঘী কেন্দ্র থেকে তৎকালীন বাম মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেছিলেন তিনি।রাজনীতির আঙিনায় গিয়ে একটানা ১০ বছর অভিনয় জগতে থেকে দূরে রেখেছিলেন নিজেকে।
তবে এখন রাজনীতি থেকে পুরোপুরি সরে নিজের চেনা জগতেই ফিরতে চলেছেন অভিনেত্রী। গতকাল অর্থাৎ ৮ আগস্ট ৬০ বছরে দিয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু বাঙালির কাছে তিনি আজও অপরূপ সুন্দরী অভিনেত্রী। উল্লেখ্য জন্মদিনের পরদিনই অর্থাৎ আজ থেকেই ফের অভিনয় জগতে কামব্যাক করছেন অভিনেত্রী। জি বাংলায় (Zee Bangla) স্নেহাশিস চক্রবর্তীর ব্লু’জ প্রোডাকশনের ‘সর্বজয়া’ (Sarbojaya) ধারাবাহিকের হাত ধরে ফের নতুন পথ চলা শুরু হচ্ছে দেবশ্রী রায়ের।
তবে এই ধারাবাহিকের প্রোমো সামনে আসার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শককূল দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। একদল ভূয়সী প্রশংসা করলেও আর অপর দলের কদর্য মন্তব্যের মুখে পড়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রী। বয়স নিয়ে খোঁচা দিয়ে কেউ তাঁকে বলেছিলেন ‘রূপ নিয়ে অহংকার কোরো না মাসি, ৯০ এর সেরা রসগোল্লাও আজ বাসি।’ আবার কেউ বলেন, ‘বৌমা-র বদলে দেবশ্রী রায়ের শাশুড়ির চরিত্রে অভিনয় করা উচিত’।
View this post on Instagram
এমন কদর্য মন্তব্য অবশ্য মুখ বুজে সহ্য করেননি দেবশ্রী। উত্তরে তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন । ‘আমার বয়স তুলে কটাক্ষ। ‘বাসি রসগোল্লা’, ‘মাসি’-র তকমা দেওয়া। কী বলব? আমি মুখে বলার চেয়ে কাজে করে দেখানোয় বিশ্বাসী। আগামী দিনেও সেটাই করব। কী ভাবছেন? এ ভাবে আমার মনোবল ভেঙে দেবেন? সে গুড়ে বালি। বরং, আপনারা আমায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। আমি সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম। ক্যামেরার সঙ্গে সখ্যতা আমার প্রায় জন্মের সময় থেকে। আমি যত ভাল ক্যামেরা বুঝি, ক্যামেরাও আমায় ঠিক ততটাই ভাল চেনে। তাই আমার অভিনীত প্রতিটি ছবিতেই আমি সুন্দরী। আমি কিন্তু কোনও দিন রূপ নিয়ে অহঙ্কার করিনি।’