দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে শহর কলকাতার মতোই আড়ামোড়া ভাঙতে ভাঙতে আপামর বাঙালির ঘুম ভাঙে তাঁর গলা শুনে। তাই তিনি আমাদের সকলের কাছে শুধু মীর নন তিনি হলেন ‘সকালম্যান’ মীর আফসর আলি (Mir Afsar Ali)। কন্ঠ কিংবা পরিবেশনা সবকিছুতেই স্পষ্ট তাঁর সূক্ষাতিসূক্ষ্ম বুদ্ধিমত্তার ছাপ। যার নেশায় বুঁদ হয়ে রয়েছেন অসংখ্য শ্রোতা। শুধু মাত্র কলকাতাতেই নয় দেশের গন্ডি পেরিয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য বাঙালিরাও রয়েছেন তাঁর সেই লক্ষ-লক্ষ গুণমুগ্ধ শ্রোতাদের তালিকায়।
তিনি দেশের জনপ্রিয়তম রেডিও জকি (Radio Jockey), তাই অত্যন্ত সাধারণ কথাও শুধুমাত্র তাঁর বলার ভঙ্গিতে হয়ে ওঠে অসাধারণ। ভাষার প্রতি, বিশেষ করে বাংলা ভাষার প্রতি তাঁর যে দখল তার ছাপ শুধু তাঁর পেশাগত জীবন অর্থাৎ কাজের জায়গাতেই নয় স্পষ্ট তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার পেজেও। এমনিতেই ইনস্টাগ্রাম কিংবা ফেসবুক সবেতেই নিয়মিত অ্যাক্টিভ থাকেন দেশের এই ব্যস্ততম রেডিও জকি।
আর সেখানেও তাঁর ছোটো থেকে ছোটো পোস্টের ছবি আর সেইসাথে নজরকাড়া ক্যাপশন নিমেষের মধ্যে মন জয় করে নেয় নেটিজেনদের। তবে সমসময় হাসি মজায় সবাইকে মাতিয়ে রাখলেও মাঝে মধ্যেই মীরের পোস্টে চোখে পড়ে নানান সামাজিক বার্তাও। যা অনেসময়েই মানুষকে ওই নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর অন্তত দুবার ভাবতে বাধ্য করে।
আজ মীরের কাছে তাঁর জীবনের একটি বিশেষ দিন। আজ থেকে ২৭ বছর আগে আজকের দিনেই শুরু হয়েছিল তাঁর আজকের ‘সকালম্যান’ (Sokalman) হয়ে ওঠার যাত্রা। তাই এই বিশেষ দিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন মীর। সেখানে তাঁর রেডিও জীবনের একেবারে প্রথমদিনের ছবি শেয়ার করেছেন মীর। যেখানে দেখা যাচ্ছে স্টুডিওতে বসে থাকা মীরের চোখে রয়েছে মোটা ফ্রেমের চশমা আর ছিমছাম চেহারার মীরের পরনে রয়েছ একেবারে সাদামাটা পোষাক।
নস্টালজিক এই ছবির ক্যাপশনেও বরাবরের মতই চমক রেখে মীর লিখেছেন ‘রেডিওঅ্যাকটিভ (Radioactive) ফর ২৭ ইয়ার্স। শুরু করেছিলাম আজকের দিনেদিনে। ৬ আগস্ট,১৯৯৪। ‘ এখানে নিজের রেডিও জীবন বোঝাতেই রেডিওঅ্যাকটিভ শব্দটিকে অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে ব্যাবহার করেছেন মীর। আর পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আসা মাত্রই সেলিব্রেটি থেকে সাধারণ মানুষ , বয়ে গেছে অসংখ্য মানুষের শুভেচ্ছাবার্তার বন্যা।