একজন নয় দুজন নয় একে একে ১১ জন বিত্তবান পুরুষ ধরা পড়েছিলেন ওপার বাংলার সুন্দরী মডেল মরিয়ম আক্তার মৌয়ের (Mariyam Akhtar Mou) পাতা ফাঁদে। রূপের জাদুকে চাবিকাঠি করে প্রথমে এক একজন ধনী ব্যক্তিদের প্রেমের জালে ফাঁসাতেন এই সুন্দরী। এরপর তাঁদের বিয়ে করে সমস্ত সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়ে জড়িয়ে পড়তেন আবার এক নতুন সম্পর্কে। ধনী ব্যক্তিদের বিয়ে করা ও সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেওয়াই ছিল তাঁর নেশা।
আগেই মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলবন্দি রয়েছেন বাংলাদেশের দুই মডেল। তাদের মধ্যে একজন মডেল মরিয়ম আক্তার মৌ আর অপরজন মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা (Faria Mehboob Piyasa)। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক মাস ধরেই বেআইনি কাজ করার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের নজরে ছিল পিয়াসা। মাদক মামলায় প্রথমে তাঁকেই গ্রেফতার করা হয়। এরপর পিয়াসার বয়ান থেকেই উঠে আসে মৌ-র নাম।
পুলিশি জেরার মুখে পিয়াসা জানিয়েছে, ৫০ জনেরও বেশি মেয়ে কাজ করত মরিয়ম আক্তার মৌ-র আন্ডারে। তারাই শহরের বিভিন্ন ধনী ব্যক্তিদের টার্গেট করে ফাঁদে ফেলত। প্রথমে পার্টি করার নাম করে বাড়িতে ডেকে আনা হত। এরপর তাঁদের সঙ্গেই অন্তরঙ্গ হয়ে সেই মুহূর্তের ভিডিও করে রাখা হত। পরবর্তীতে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় করত মৌ।
মূলত দরিদ্র পরিবারের সুন্দরী তরুণী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রীরাই ছিলেন মৌ-এর প্রতারণা চক্রের সদস্য। গভীর রাত পর্যন্ত মাদক সেবনের পাশাপাশি চলত অসামাজিক কার্যকলাপ।যা দেখিয়ে পরে ব্ল্যাকমেল করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিত এই চক্র।
পুলিশ সূত্রে খবর ঢাকার বারিধারায় একটি অভিজাত আবাসানের দ্বিতীয় তলায় মাসিক ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা ভাড়ার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন পিয়াসা। রবিবার রাতে সেখানেই অভিযান চালিয়ে প্রচুর মাদক সহ পিয়িসাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় মৌকে।