সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ রয়েছেন অথচ ‘জানে মেরি জানে মান,বাচপন কা প্যায়ার’ (Jane meri jane man, bachpan Ka Peyar) গানটি শোনেননি এমন কেউ রয়েছেন বলে মনে হয় না। কারণ আজ থেকে ২ বছর আগে গাওয়া এই গানের ভিডিওটি গত ৩ জুলাই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়ার পর থেকেই যেভাবে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হতে শুরু করেছে তাতে সেটাই স্বাভাবিক। সেলেব্রেটি থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই বুঁদ হয়ে রয়েছেন মজার ছলে গাওয়া এই গানের নেশায়। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই দেখা যাচ্ছে এই একই গানে রিল ভিডিও করে চলেছেন সকলে।
এরই মধ্যে এই গানের ওপরে ১২ হাজারেরও বেশি রিল ভিডিও (Reel Video) তৈরি হয়ে গিয়েছে। এছাড়া মূল যে ভিডিও সেটিতে ইতিমধ্যেই লাইক পড়েছে সাড়ে চার লক্ষ, এছাড়াও ৯ লক্ষ ভিউয়ারস দেখেছেন ভিডিওটি। সেলেব্রেটি থেকে সাধারণ মানুষ গোটা দেশ এখন এই গানের ফ্যান। আর এই তালিকায় রয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় র্যাপার বাদশাহও (Badshah)।
এমনিতে গানটি শুনেই বোঝা যাচ্ছে যে গানের গলা একজন বাচ্চার। আসলে এই ভাইরাল ভিডিওর গায়ক হলেন ছত্তিসগড়ের সুকমার বাসিন্দা ১২ বছরের সহদেব ডিরডো(Sahdeb Dirdo)। তাঁর বাবা পেশায় একজন কৃষক। তবে সহদেবের গলায় যে গানটি হয়েছে তা আদতে এক আঞ্চলিক ছবিতে ব্যবহৃত গান। দু’বছর আগে স্কুলের শিক্ষক সন্তোষের সামনেই প্রথম গানটি গেয়েছিল সে। এরপর তাঁর সেই শিক্ষক সন্তোষই এই গান টি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দিয়েছিলেন।
সহদেবের এই গানের ভিডিও দেখার পর ছত্তিসগড়ের এক ইউটিউবারের সাহায্যে তাঁর সাথে যোগাযোগ করেছিলেন গায়ক বাদশাহ। তাঁর সাথে ভিডিও কলে কথা বলে বাদশাহ তাঁকে চন্ডীগড় আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। বাদশাহর প্রস্তাবে রাজি হয়ে বাবার সাথেই চণ্ডীগড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন সহদেব।
View this post on Instagram
আর এইভাবেই ছোট্ট সহদেব তাঁর স্বপ্নের উড়ানের প্রথম ধাপ পেরিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন নিজের স্টার ফ্যান বাদশাহর দরবারে। গতকালই নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে সহদেবের সাথে একটি ছবি পোস্ট করেছেন বাদশাহ। যেখানে দেখা যাচ্ছে ছত্তিসগড়ের প্রত্যন্ত এলাকার শিশুর পোষাক আসাক থেকে চেহারায় এসেছে এক আমুল পরিবর্তন। একেবারে বাদশাহর স্টাইলে সাজিয়ে তোলা হয়েছে তাঁকে। বাদশাহর পাশে দাঁড়িয়ে হাসি মুখে পোজ দিতেও দেখা যাচ্ছে ছোট্ট সহদেবকে। তবে বাদশাহর হাত ধরে তাঁর বলিউড যাত্রার কতটা মসৃণ হতে চলেছে তা জানা না গেলেও সাসপেন্স বজায় রেখেই এদিন বাদশাহ ক্যাপশনে লিখেছেন ‘বাচপন কা পেয়ার, তাড়াতাড়ি আসছে।’