গতবছর পুজোর পর থেকেই মাথার ছাদ আলাদা হয়েছে অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) এবং তাঁর ব্যবসায়ী স্বামী নিখিল জৈনের (Nikhil Jain)। সেই থেকেই অব্যাহত নুসরত-নিখিল তরজা। এছাড়াও অভিনেত্রীর বিচ্ছেদের খবরে যখন সরগরম পেজ থ্রির পাতা তখনই জল্পনা দ্বিগুণ বাড়িয়ে সামনে আসে অভিনেত্রীর গর্ভবতী হওয়ার খবর। নাম জড়ায় অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সাথেও।
তবে এবিষয়ে শুরু থেকেই ‘স্পিকটি নট’ ( Speakty Not) অভিনেত্রী। সরাসরি না হলেও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আভাস মিলেছে তাঁর বেবে বাম্পের। তবে তাঁর সন্তানের বাবা কে উত্তর মেলেনি এই প্রশ্নেরও। অপরদিকে নুসরতের গর্ভবতী হওয়ার খবর পেয়ে কার্যত আকাশ থেকে পড়েছেন নিখিল। তাঁর স্পষ্ট দাবি নুসরতের গর্ভে থাকা সন্তান তাঁর নয়। এপ্রসঙ্গে তিনি জানান ‘যে দিন জানলাম, নুসরত আমার সঙ্গে থাকতে চায় না , অন্য কারও সঙ্গে থাকতে চায়, সে দিনই দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছি আমি’।
২০১৯ সালে তুরস্কে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করছিলেন অভিনেত্রী। ভারতে ফিরে জমকালো রিসেপশন পার্টি হলেও হয়নি ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন। এপ্রসঙ্গে নুসরত জাহান সংবাদমাধ্যমে স্পষ্ট বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন ‘স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট,১৯৫৪’-এর আওতায় রেজিস্ট্রিশন হয়নি তাঁর ও নিখিলের বিয়ের। তাই নিখিল আদালতে যে বিচ্ছেদের মামলা করেছেন তা ভিত্তিহীন। কারণ অভিনেত্রীর দাবি তাঁরা শুধুমাত্র লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। সুতরাং বিচ্ছেদের প্রশ্নই আসে না।
এরপর নুসরতের সেই বিবৃতি নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক । এরপর পাল্টা বিবৃতি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন না হওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে নিখিল জানিয়ে দেন। সেই কারণেই অ্যানালমেন্টের মাধ্যমে নুসরত জাহানের থেকে আলাদা হতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। যার ভিত্তিতে সাংসদ-অভিনত্রীকে নিজে আদালতে এসে বলতে হবে, তিনি আর নিখিলের সঙ্গে থাকতে চান না।
করোনার জেরে পরবর্তীতে আদালতে সেই মামলার বেঞ্চই গঠন না হওয়ায় এবং বিচারকদের অনুপস্থিতির কারণে পিছিয়ে যায় নুসরত-নিখিলের মামলার শুনানি। জানা গেছে আগামী ১৮ আগস্ট নুসরত-নিখিল মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এখন দেখার আদালত এই দিন কি সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে।