বলিউডের (Bollywood) পাওয়ার কাপলদের মধ্যে অন্যতম হলেন শাহরুখ-গৌরি (Shahrukh- Gouri)। একথা একবাক্যে স্বীকার করবেন যে কেউ। একদিকে ইন্ডাস্ট্রিতে একের পর এক বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা দেখে যখন বিয়ে, ভালোবাসা এসবের ওপর থেকে সকলের বিশ্বাস উঠে যেতে শুরু করেছে তখনই বছরের পর বছর একে অপরের প্রতি তাঁদের কমিটমেন্ট দেখে অনেকেই মনে মনে বলে ওঠেন ‘True love does exist’ অর্থাৎ সত্যিকারের ভালোবাসা এখনও বেঁচে আছে।
শাহরুখ-গৌরীর দাম্পত্য জীবনের গল্প আগেও একাধিক বার অনুরাগীদের সামনে উঠে এসেছে। কলেজ লাইফ থেকেই শাহরুখ গৌরী একে অপরকে পছন্দ করতেন। প্রথমে গৌরীর বাড়ির লোক তাঁদের এই সম্পর্ক মেনে না নিলেও পরবর্তীতে তাঁরাও মেনে নেন। ১৯৯১ সালে শুরু হয় তাঁদের একসাথে পথ চলা। সেই বছর শাহরুখ খানের বয়স ছিল ২৬ বছর ও গৌরীর বয়স ছিল ২১ বছর। আর বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়ির নয়নের মণি হয়ে ওঠেন কিং খান। তাঁরা দু’জনেই একে অপরের ধর্মকে সম্মান জানান, কেউ কাউকে কোনও কিছুতে জোরাজুরি করেননি আজ পর্যন্ত। আর চলতি বছরেই ৩০ বছর পূর্ণ করেছে তাঁদের দাম্পত্য জীবন।
ইন্ড্রাস্ট্রিতে দীর্ঘদিন ধরে আদর্শ দম্পতির তকমা পেয়ে আসা বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান এবং ইন্টিরিওর ডিজাইনার গৌরী খানের তিন সন্তান, আরিয়ান ,সুহানা এবং আব্রাম। এঁদের মধ্যে আব্রাম (Abram) হলেন শাহরুখ গৌরীর সারোগেটেট সন্তান। এই বয়সেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সুপারহিরো হয়ে উঠেছে ছোট্ট আব্রাম। শাহরুখ গৌরী দুজনেই প্রায়ই তাঁর সাথে ছবি শেয়ার করে থাকেন।
কিন্তু একসময় এই সন্তানের জন্ম ঘিরেই বিতর্ক দানা বেঁধেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে গৌরী নিজের গর্ভে সন্তান ধারণ না করে সারোগেসি পদ্ধতি বেছে নিলেন। গুজব ছড়ায় শাহরুখের এই সিদ্ধান্তে মত ছিল না গৌরীর,এমনকী ভেঙে যেতে বসেছিল তাঁদের দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবন।
কিন্তু ধোপে টেকেনি সেই জল্পনা। শাহরুখ গৌরীর সারোগেসি পদ্ধতিতে বাচ্চা নেওয়ার আসল কারণ অন্য। জানা যায় দুবছর ধরে শাহরুখ ও গৌরী তাঁদের তৃতীয় সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু গৌরীর স্বাস্থ্যের পক্ষে তা ঝুঁকি সম্পন্ন হয়ে ওঠে,তখন শাহরুখেরও বয়স বেড়ে যাচ্ছিল । তাই এরপরই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা সন্তান দত্তক নেবেন। এমনসময় সারোগেসির কথা মাথায় আসে তাঁদের। এরপর নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান নেন তাঁরা। কিন্তু ক্লিনিকের নির্দেশেই সন্তানের মায়ের পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়।