সানডে সাসপেন্স (Sunday suspese), অথবা প্রেম ডট কম (Prem Dot com) রেডিও মির্চির জনপ্রিয় শো। আর এই শো গুলি কানে রাখতে বাঙালি গত কয়েক দশক ধরেই বেজায় পছন্দ করেন। বিপুল জনপ্রিয় রেডিওর এই শো-য়ের নেপথ্যের একটি চির- পরিচিত গলা হল মির্চি অগ্নির (Mirchi agni)। রেডিও মিরচির জনপ্রিয় আরজে (Radio jockey) তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ও সে দারুণ জনপ্রিয়। ইউটিউব, রেডিও থেকে শুরু করে ফেসবুকেও অসংখ্য অনুরাগী তার।
যেকোনো অনুষ্ঠানেই নিজের মতো করে ভিডিও বানান অগ্নি। গত কয়েক দিন আগেই ছিল পবিত্র ঈদ। আর এই বিশেষ দিনেই একটি ভিডিওর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সসম্প্রীতির বার্তা দিয়েছিলেন অগ্নি। ধর্ম কে তিনি উৎসব হিসেবে তুলে ধরে ঈদের সিমুইয়ের সাথে মিশিয়ে দিতে চেয়েছিলেন দুর্গা পুজোর মহাষ্টমীর খিচুড়ি, আর এই মন্তব্য করা মাত্রই শুরু হল বিপত্তি। তার কমেন্ট বক্সে ধেয়ে এলো একদল ‘হিন্দু ভাববাদী’ মানুষ। অগ্নির কথায় ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত ও লেগে গেল কারোর কারোর।
এক মিনিট পঞ্চান্ন সেকেন্ডের ভিডিওর শুরুতেই অগ্নি বলছেন, ‘দেখতে দেখতে ধর্ম কেমন উৎসবে পরিণত হয় এই শহরে, আজ ওয়ারেস রহমানদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মেলাবেন বীরবল রুদ্রেন্দুরা। ” কিন্তু অগ্নি রাম – রহিমকে কোলাকুলি করাতে চাইলেও ফেসবুক পাড়ার অনেক ‘রামে’দেরই রহিমের সাথে হাত বা কাঁধ মেলাতে বেজায় আপত্তি। এই ভিডিওর কমেন্ট বক্সে উঠে এসেছে এমনই কিছু নজির।
দুর্গা পুজোতেও যেমন অনেক মুসলীম ভাইরা মন্ডপ সজ্জার কাজে, ভীড় সামলাতে, কিংবা ঢাক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তেমনই অগ্নির কথায় ঈদের দিনেও আনন্দে মেতে ওঠেন হিন্দুরা। তবে এই বক্তব্যের সাথে সহমত হতে পারেননি সকলে। এক জনৈক নেটিজেন লিখছেন, ‘রেকর্ডিং স্টুডিওতে বসে এইসব আঁতলামি মার্কা ভাষণ না দিয়ে একবার মেটিয়াবরুজ, খিদিরপুর ঘুরে আয়… তাহলেই বুঝতে পারবি সিমুইটা হলো ভাঁওতাবাজি। আসলে বইছে রক্তের বন্যা।’
আবার আরেকজন নেটিজেন লিখেছেন, ‘অষ্টমীতে মণ্ডপে নামাজ পড়া হয়েছিল,তা ঈদে মসজিদে গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করা হবে না কেন?’ অগ্নির বক্তব্যকে অবাস্তব বলে দাগিয়ে দিয়ে আরেকজন লিখেছেন, ‘ভাই, তুমি কি রসগোল্লার রসে আলুরদম ডুবিয়ে খাও? কিংবা ইলিশ ভাপাতে কেক মাখিয়ে? তাহলে খিচুড়ির মধ্যে সিমুই মেশানোর উদ্ভট আইডিয়া কেন? তোমাদের এসব অবাস্তব “সেকুলারি” পদ এমনিতেও লোকে আজকাল খাচ্ছে না।’ যদিও অনেকেই অগ্নির এই বক্তব্যকে সাধুবাদও জানিয়েছেন। এক মুসলিম ভাই-ই অগ্নিকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, ‘তুমি দাদা সেরা ইচ্ছে করছে তোমাকে একটু সিমুই খাইয়ে আসি অনেক ভালোবাসা তোমাকে ঈদ মুবারাক ‘।