আর কিছু দিনের অপেক্ষা। চলতি মাসের শুরুতেই ফের টিভির পর্দায় ফিরতে চলেছে ভারতীয় টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় কমেডি শো ‘দ্য কপিল শর্মা শো’ (The Kapil Sharma Show)। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ফের দমফাটা অট্টহাসিতে ফেটে পড়তে চলেছে দর্শকদের ড্রয়িং রুম। সারা সপ্তাহের কাজ সেরে একটু রিল্যাক্সেশনের জন্য টিভির পর্দায় কপিল শর্মা শো দেখার জন্য রীতিমতো মুখিয়ে থাকেন দর্শকরা। তাই এই শো ফের শুরু হওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই এখন থেকে দিন গোনা শুরু করে দিয়েছেন দর্শকরা।
কিছুদিন আগেই শো হোস্ট কপিল শর্মা (Kapil Sharma) ইনস্টাগ্রামে কপিল শর্মা শো এর পুরনো সদস্যদের নিয়ে তিনটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছিলেন ‘পুরনো মুখদের নিয়ে নতুন যাত্রা’। এরপর মাত্র দুদিন আগেই কপিল শর্মা-র শো-এর নতুন সিজন শুরু করার আগে কপিল শর্মা নিজের টিমের সঙ্গে ভ্যাকসিনেশন পরের একটি ছবি পোস্ট করেছেন।সেই ছবিতে কৃষ্ণা অভিষেক, ভারতী সিং, কিকু সারদা, চন্দন প্রভাকরকে দেখা গেলেও দেখা মেলেনি বাঙালি অভিনেত্রী সুমনা চক্রবর্তী ( Sumona Chakraborty)।
উল্লেখ্য সুমনা এই শো’তে ভুরির চরিত্রে অভিনয় করেন। গুঞ্জন শুরু হয় সুমনা চক্রবর্তী বাদ পড়ছেন ‘দ্য কপিল শর্মা শো’ থেকে। এই নিয়ে কপিলসহ চ্যানেল কর্তৃপক্ষ মুখ না খুললেও নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে বৃহস্পতিবার সুমনার ইনস্টাগ্রাম পোস্টকে ঘিরে। এদিন সুমনা চার্লোট ফ্রিম্যানের লেখা বই ‘এভরিথিং ইউ উইল এভার নো’-এর একটি অংশ শেয়ার করেছেন।
যেখানে লেখা রয়েছে ‘আপনার জন্য কী রয়েছে, সেটা সব সময় বোঝা যায় না। সে জন্য হয়তো আপনাকে উপযুক্ত সুযোগও দেওয়া হয় না। নতুন সম্পর্ক, চাকরি, শহর, অভিজ্ঞতা সেটা যাই হোক না কেন। সেখানে নিজেকে সমর্পণ করুন। আর পিছনে ফিরে তাকাবেন না। যদি সেটা কাজ না করে, তা হলে জানবেন সেটা আপনার জন্য ছিল না। আপনার কোনও অনুশোচনা থাকবে না….নতুন সুযোগ গ্রহণ করার সাহস রাখুন।’সেইসাথে অভিনেত্রী জানিয়েছেন কাজ না থাকায় এখন তাঁর কোনও রোজগার নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজের এবং পরিবারের খরচ চালিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন। এ জন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করেন অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য ২০১১ সালে এন্ডোমেট্রিওসিস নামক জরায়ুর এক জটিল রোগ ধরা পড়ে সুমনার শরীরে। একথা জানিয়ে সুমনা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের একটি ছবি শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন , ‘২০১১ থেকে এন্ডোমেট্রাইোসিস রোগের সঙ্গে লড়াই করছি। চতুর্থ স্টেজে রয়েছি। ভাল খাবার অভ্যেস, ব্যায়াম এবং কোনও স্ট্রেস না নিলে তবেই আমি ভাল থাকব। লকডাউন মানসিক ভাবেও আমার জন্য কঠিন ছিল।’