দীপিকা পাডুকোন (Deepika Padukone) মানেই ‘ক্যুইন অফ হার্টস ‘(Queen Of Heart’s)। তাঁর সৌন্দর্যের কথা আলাদা করে আর নাইবা বললাম। তবে পদ্মফুলের পাপড়ির মতো ওমন বড়ো বড়ো ওই চোখের দিকে তাকালে বুকের বাঁ দিকটা চিনচিন করে ওঠেনা এমন পুরুষ এই ভূভারতে নেই বললেই চলে। তবে শুধু রূপের ছটায় নয় নিজের অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা দিয়েও দিনের পর দিন দর্শকদের মুগ্ধ করে চলেছেন ডিপি। তাই আজ বলিউডের যে কোনো পরিচালকের কাছেই নাম্বার ১ অভিনেত্রী হয়ে উঠেছেন দীপিকা।
মাত্র ২০ বছর বয়সে ফারহা খানের (Farah Khan) হাত ধরে প্রথম ছবি ‘ওম শান্তি ওমে কিং খানের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন দীপিকা। এরপর একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন দীপিকা । কিন্তু অভিনেত্রী নিজের ব্যক্তিগত উপলব্ধি থেকে বুঝেছেন ২০১৩ সালের ১৩ জুলাই প্রকাশিত ‘ককটেল’ (Cocktail) হল সেই ছবি যা তাঁর কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। শুধু মাত্র অভিনেত্রী হিসাবে নয় এই ছবির ছাপ পড়েছিল তাঁর ব্যাক্তিগত জীবনেও।
পরিচালক হোমি আদাজানিয়া পরিচালিত এই সিনেমার চিত্রনাট্যটি লিখেছিলেন ইমতিয়াজ আলি। ছবিটিতে দীপিকার সাথে অভিনয় সইফ আলি খান ও ডায়না পেন্টি। সম্প্রতি ৯ বছর পূর্ণ হয়েছে এই ছবির। আর সেই উপলক্ষেই এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা জানিয়েছেন ‘যখন আপনি নিজের মন থেকে কোনও চরিত্রে অভিনয় করেন, তখন সেই চরিত্রটি সারাজীবনের জন্য প্রিয় হয়ে যায়। তাই ভেরোনিকা (Veronica)চরিত্রটি হল আমার কাছে অতি মূল্যবান একটি চরিত্র। এটা যেমন আমার কেরিয়ারেও অনেক পরিবর্তন এনেছে, তেমনই ব্যক্তিগতভাবেও আমার কাছে এই চরিত্রের গুরুত্ব রয়েছে’।
তবে প্রথমবার স্ক্রিপ্ট পড়ে দীপিকা কনফিউজড হয়ে গিয়েছিলেন পরিচালক আসলে তাঁর জন্য কোন চরিত্র ভেবেছেন।এপ্রসঙ্গে দীপিকা জানান ‘যখন প্রথম আমাকে স্ক্রিপ্ট দেওয়া হয়েছিল, আমি ভেবেছিলাম মীরার চরিত্রটা আমার। তবে সেই চরিত্র দেখা গিয়েছিল ডায়নাকে। এরপর ইমতিয়াজ একদিন আমাকে ফোন করে স্ক্রিপ্টটি আরও একবার পড়তে বলেন। এর পর আমি বুঝতে পারি ইমতিয়াজ আসলে আমাকে কোন চরিত্রটির জন্য কাস্ট করতে চাইছিলেন। ইমতিয়াজের পাশাপাশি আমি ছবির পরিচালক হোমি আদাজানিয়াকেও ধন্যবাদ জানাই, ভেরোনিকা চরিত্রের মাধ্যমে আমাকে নতুন পরিচয় দেওয়ার জন্য।”
ককটেল’-এ দীপিকার চরিত্র ছিল এমন একজন মেয়ের, যে সর্বক্ষণ মদের নেশায় ডুবে থাকত, কিন্তু যত দিন পর্যন্ত নিজের ভেতরে সে সত্যিকারের অনুভূতি খুঁজে পায় ততদিন তাকে সর্বক্ষণ হাসিখুশি দেখা যায়। এই প্রথম দীপিকা ভেরোনিকার মতো এক পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করার সাহস দেখিয়েছিলেন। সেই প্রথম দর্শকরা অনুভব করেছিলেন দীপিকার অন্দরের অভিনয়ের খিদে।