বলিউডের ড্রিমগার্ল হেমা মালিনী (Hema Malini) কেবল তার সৌন্দর্যের জোরেই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা করে নেননি, বরং তাঁর অভিনয় এবং কঠোর পরিশ্রম তাকে এই অবস্থান দিয়েছে। হেমা কখনও তার কাজের সাথে আপস করেননি। এই কারণেই শ্যুটিংয়ের সময় অসংখ্যবার বহু কষ্ট সহ্য করেও নিজের কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান থেকেছেন অভিনেত্রী।
‘শোলে’ সিনেমাটি বলিউডের পাশাপাশি হেমা মালিনীর কেরিয়ারেরও একটি মাইল ফলক বলা যায়। মুক্তির প্রায় ৪ দশক পরেও এই ছবির জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমেনি। ‘শোলে’ ছবিতে বাসন্তী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন হেমা। এই ছবিতেই গব্বরের সামনে একটি দৃশ্যে বিখ্যাত ‘যব তাক হ্যায় জান’ গানে নেচেছিলেন হেমা।
ছবিটির শুটিং গাব্বরের ঘাঁটিতে হয়েছিল এবং এটি ছিল একটি পাথুরে অঞ্চল। খুব গরম ছিল। এমন পরিস্থিতিতে শৈলগুলি খুব উত্তপ্ত হয়ে উঠল। হেমা বলেছিলেন যে উত্তপ্ত পাথরে পা রাখা খুব কঠিন ছিল।
অ’ভিনেত্রী বলেন যে, এই ‘যাব’ তাক হ্যায় জান’ গানটি শ্যুটিং ব্যা’ঙ্গালোরে হয়েছিল। অ’ভিনেত্রী রমেশ সিপ্পি কে অনুরোধ করেন যাতে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে এই নাচের সিকোয়েন্স শ্যুট করা হয়। কেননা তাঁর একমাত্র কারণ সেই সময় ব্যা’ঙ্গালোরের আবহাওয়া ভালো থাকে। কিন্তু রমেশ সিপ্পি সে কথা শোনেনি। তিনি মা’র্চ মাসে প্রচন্ড গরমের মধ্যেই শ্যুট করেন।
এতটাই গরম হয়ে গিয়েছিল শিলা, যে অভিনেত্রীর পায়ে ফোসকা পড়ে গিয়েছিল। এই জন্য হেমার মা তাকে মোজা পরে নাচার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু শ্যুটিং -এর সময় পরিচালক রমেশ সিপ্পির চোখ তাঁর পায়ে পড়ে এবং তিনি রেগে যান। তিনি তত্ক্ষণাত মোজা খুলে ফেলেন।যখন হেমার সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল, তিনি জ্বলন্ত রোদে খালি পায়ে নাচতে শুরু করলেন, কিন্তু পাথরের উত্তাপের কারণে পায়ে ফোস্কা পড়ে গিয়েছিল। হেমা জানিয়েছিলেন যে এই গানের শুটিং প্রায় ১৫-২০ দিনের মধ্যে শেষ হয়।