সকলেই তাঁকে ‘ভাইজান’ বলে সম্বোধন করলেও এখনও বলিউডের মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর তিনিই। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন কথা হচ্ছে বলিউডের ‘দাবাং’ সালমান খানের (Salman Khan) বিষয়ে। তাঁর এক মুহূর্তের উপস্থিতিই নিমেষে মধ্যে বদলে দেয় গোটা আবহ। এমনই ম্যাজিক তাঁর ব্যাক্তিত্বের। আর বলিউডের অন্যতম সুপারস্টার হওয়ার সুবাদে তাঁর ব্যাপারে খুঁটিনাটি জানতে কৌতুহলের অন্ত নেই সালমান ভক্তদের। তাঁর ছোটো থেকে ছোটো সমস্ত গতিবিধির দিকেই সর্বক্ষণ তাক করে থাকে পাপারাৎজির অসংখ্য ক্যামেরা। আর আজ সালমান ভক্তদের জন্য বংট্রেন্ডের পাতায় থাকছে সালমন খানের জীবনের এমনই এক অজানা তথ্য।
সূত্রের খবর বর্তমানে সলমন খানের মাসিক আয় প্রায় ২১-২২ কোটি টাকা।একটা সময় ছিল যেদিন আর পাঁচজন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়ের মতোই তিনি বড় হয়েছেন।আমরা সকলেই জানি বলিউডের জনপ্রিয় বাবা-ছেল জুটির মধ্যে অন্যতম সেলিম খান (Selim Khan) এবং সালমান খানের জুটি।তাঁর বাবা তাঁর কাছে যত না অভিভাবক তার চেয়ে অনেক বেশি একজন বন্ধু। তাই ছেলে সালমনের জীবনের চড়াই উতরাই নানা মুহুর্তের সাক্ষী থেকেছেন সেলিম খান।
একবার কমেডি কিং কপিল শর্মার (Kapil Sharma) জনপ্রিয় টক শো ‘দ্য কপিল শর্মা শো'(The Kapil Sharma Show) -তে এসেছিলেন সালমান খান। সেখানেই একবার বাবা সেলিম খানের সাথে শৈশবের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে সালমন জানান একটা সময় এমনও দিন গেছে যখন তাঁর স্কুলের মাইনের টাকা জোগাড় করতে না পারায় মাথা পেতে সাজা ভোগ করেছিলেন তাঁর বাবা নিজেই।
এপ্রসঙ্গে প্রসঙ্গে সলমন জানান ‘একদিন, আমার বাবা আমার স্কুলের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি, আমাকে আমার ক্লাসের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন।তখন বাবা জানতে চান, ওখানে আমি কী করছি? আমি বললাম, কিছুই না। প্রিন্সিপাল এসে আমায় এই ফ্ল্যাগ পোলের নীচে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেছেন, আমি এখানে সারাদিন দাঁড়িয়ে আছি। ” সেইসাথে সালমান জানিয়েছিলেন তিনি তখন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তেন।
এরপর তাঁর বাবা, গিয়ে প্রিন্সিপালকে জিজ্ঞেস করলে প্রিন্সিপাল জানান স্কুলের ফি না দেওয়ায় সালমান কে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।এরপর সালমান জানান ”একথা শোনার পর বাবা রেগে গিয়ে প্রিন্সিপালকে বলেছিলেন, ওর তো স্কুলের ফি দেওয়ার কথা নয়, তার জন্য তো আমি আছি। আপনার ওকে ক্লাসে রাখার কথা। আর এই মুহূর্তে আমি অর্থাভাবের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। আপনার যদি কাউকে শাস্তি দিতে হয়, তাহলে আমায় দিন, এই বলে তিনি নিজেই টিফিন পিরিয়ড থেকে স্কুল ছুটি হওয়া পর্যন্ত ফ্ল্যাগ পোলের নীচে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।” জানা যায় তার পরের দিনই সেলিম খান স্কুলের ফি দিয়েছিলেন। এরপর প্রিন্সিপাল নিজে সেলিম খানের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন।