বলিউডে বরাবরই এক বিশেষ ধরনের আভিজাত্যের ছাপ রেখে এসেছে কাপুর বংশ। আর বিটাউনে একটা প্রচলিত মিথ আছে সেই মিথ অনুযায়ী বরাবরই অনান্যদের তুলনায় একটু বেশিই অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন স্টার কিডরা। এবার সেকথা এক প্রকার নিজের মুখেই স্বিকার করে নিলেন কাপুর পরিবারের অন্যতম সন্তান তথা অভিনেতা অর্জুন কাপুর (Arjun Kapoor)।অভিনয় জীবনের ৯ বছর পর আজ বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা তিনি।হিট ,ফ্লপ দুই ধরনের ছবিতেই সমৃদ্ধ অভিনেতার ঝুলি।তবে অভিনেতা হওয়ার আগে ঠিক কেমন ছিল তাঁর পেশাদার জীবন?
সম্প্রতি The Bollywood Film Club-র ক্লাব হাউজ় সেশনে জেনিস সিকুইরে ও অনিরুদ্ধ গুহর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে অর্জুন জানিয়েছেন অভিনয় জগতে আসার আগে তিনি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে তাঁর কেরিয়ারের যাত্রা শুরু করেছিলেন। তবে বাইরের হাউজে কাজ করার আগে প্রথমেই তিনি তাঁর বাবা বনি কাপুর (Boney Kapoor)-এর কাছেই অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। সেসময় তিনি ‘শক্তি: দ্য পাওয়ার’ ছবির ট্রেলরের জন্য তিনি এডিটিং-এর কাজ করেছিলেন । পরবর্তীতে তিনি নিখিল আদবানির সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তবে অর্জুনের অকপট স্বীকারোক্তি সে কাজে তিনি মোটেই ভালো ছিলেন না । অর্জুনের কথায়, ‘একেবারে জঘন্য ছিলাম সে কাজে।’
এপ্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, আমি যখন কাজ শুরু করি তখন আমি খুবই খারাপ কাজ করতাম। আমার কাজ ভয়ঙ্কর ছিল। আসলে বলতে খারাপ লাগলেও ছোট থেকেই অগ্রাধিকার পেয়ে বড় হয়েছি। এখানে অগ্রাধিকার বলতে কিন্তু স্রেফ অর্থনৈতিক সচ্ছলতার কথা বলছি না। মানে বলতে চাইছি ভুল করেও পার পেয়ে যাব, এই ধারণা পোষণ করতাম আমি। আসলে এক্ষেত্রে পরিচিত কেউ থাকলে সেই সোর্স কাজে লাগিয়ে কোয়ালিফিকেশন ছাড়াই কাজ করা, ভুল করা, আবার শেখা সবটা হয়ে যায়। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। ভুল করেছি, শুধরে নেওয়ার সুযোগও পেয়েছি।তার ওপর ফিল্মি পরিবার থেকে আসার ফলে এই ধারণা আরও বদ্ধমূল হয়েছিল যে সহকারী পরিচালক হওয়াটা ভীষণ সহজ ব্যাপার। যে কেউ করতে পারে। কিন্তু সে ধারণা কত বড় ভুল ছিল তা বুঝতে পেরেছিলাম ছবির সেটে কাজ শুরু করার পর।’
সেইসাথে অর্জুন আরও বলেন,’ কল হো না হো ছবিতে পরিচালক নিখিল আডবানির সাথে সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ শুরু করি। সে সময়ে মারাত্মক অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। আমি সেটে ঘুমিয়ে পড়তাম, সেটে পৌঁছাতাম নিখিল স্যারের পরে। যে কাজ ১৫ মিনিটে করা যায়, সেই কাজ আমি করেছি ৪ ঘণ্টা ধরে। তবে, কাজগুলো করতে আমার ভালো লেগেছে।
এরপর অবশ্য সালাম-এ-ইশক ছবিতে কাজ করার সময়ে বুঝতে পারি আমার কাজের গতি ও ধরণ দুইই ধীরে ধীরে বদলে গেছে। উন্নতি করতে শুরু করলাম দ্রুত। পরবর্তী সময়ে কাজটাকে গভীরভাবে ভালোবেসে ফেলি। ভবিষ্যতে যে আমিও কোনওদিন পরিচালক হতে চাই, সেই স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম তখন থেকেই।’ বর্তমানে একাধিক ছবি রয়েছে বলিউডের এই ‘গুন্ডে’-র হাতে। তার মধ্যে অন্যতম হল প্রভাণ কৃপালনির ‘ভুত পুলিশ’। ছবিটি সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখ ওটিটি প্লাটফর্মের মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।