কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি। অর্থাৎ বাঙালির খাবারের আয়োজনে মাছ আর ভাত থাকবেই থাকবে। এই কথাটা কিন্তু একেবারেই মিলে যাবার মত। কারণ বাঙালি বাড়িতে দুপুরের খাবার মানেই ভাত, আর মাছের জনপ্রিয়তা বাঙালিদের কাছে রয়েছে চিরকালই। আর আজ আপনাদের জন্য নিয়ে হাজির হয়েছিল চিরকালের জিভে জল আনা মাছের রেসিপি। ভোলা মাছের পাতুরি (Vola Macher Paturi)।
পাতুরি নাম শুনলেই অনেকের জিভে জল আসে। ইলিশ থেকে শুরু করে ভেটকি মাছ অনেক ধরণেরই পাতুরি তৈরী করা যেতে পারে। স্বাদে আর গন্ধে অতুলনীয় এই পাতুরি। আর আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ভোলা মাছের পাতুরি তৈরির সহজ ও ঘরোয়া রেসিপি তাহলে আর দেরি না করে ঝটপট দেখে নিন আর বানিয়ে ফেলুন।
ভোলা মাছের পাতুরি তৈরির রেসিপিঃ
- ভোলা মাছ
- পোস্ত বাটা
- কাঁচালঙ্কা, সর্ষে বাটা
- নারকেল বাটা
- টক দই
- কাঁচা লঙ্কা, হলুদগুঁড়ো,
- সর্ষের তেল, পরিমাণ মত নুন
- কলাপাতা
- মোটা সুতো
ভোলা মাছের পাতুরি তৈরির পদ্ধতিঃ
- সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে যাতে ভোলা মাছ কেনার সময়েই যেন সেটা পাতুরির মাপে কেটে আনা হয়।
- এরপর একটা পাত্রে নারকেল বাটা, পোস্ত বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা, সর্ষে বাটা, তেল, নুন হলুদ সব একত্রে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
- এবার মিশ্রণটির মধ্যে মাছগুলোকে অন্তত ১০-১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে।
- এরপর কলাপাতা মাঝ বরাবর কেটে নিতে হবে। আর কলাপাতাগুলিকে সেদ্ধ করে নিতে হবে নুন জলে ২-৩ মিনিট মত।
- এরপর এক একটি মাছ নিয়ে কলাপাতায় রেখে একটা কাঁচালঙ্কা আর একচামচ তেল ছড়িয়ে ভালো করে সুতো দিয়ে বেঁধে নিতে হবে। (বাঁধার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে খুব বেশি শক্ত না হয়, তাহলে পাতা ছিঁড়ে যাবে।)
- এবার কড়ায় তেল গরম করে পাতুরি দিয়ে দিতে হবে আর ১০-১৫ মিনিট ঢাকা দিয়ে রান্না করতে হবে।
- তবে মাঝে ৫ মিনিট পর মাছটিকে উল্টো করে দিতে হবে যাতে দু দিকেই সমান ভাবে রান্না হতে পারে।
- ব্যাস ভোলা মাছের পাতুরি একেবারে রেডি। এবার শুধু গরম গরম ভাতের সাথে পাতে পড়ার অপেক্ষা।