বাঙালি অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলি (Subhashree Ganguly)। টলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন তিনি। টলিউড প্রযোজক রাজ চক্রবর্তীকে (Raj Chakraborty) বিয়ে করেছেন শুভশ্রী। আর গতবছরই মা হয়েছেন অভিনেত্রী, জন্ম দিয়েছেন পুত্র সন্তানের। আর ছেলে যুবানকে (Yuvaan) নিয়েই কেটেছে বেশ কিছুদিন।
অভিনেত্রী সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ সক্রিয়। ১০ লক্ষেরও বেশি অনুগামী রয়েছে শুভশ্রীর ইনস্টাগ্রামে। সেখানে নিজের ও ছেলে যুবানের ছবি শেয়ার করেন মাঝে মধ্যেই। আর সেই সমস্ত ছবি নিমেষের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে পরে। আর জনপ্রিয়তার দৌড়ে এখন থেকেই সেলেব্রিটি হয়ে গিয়েছে ছোট্ট যুবান।
মা হবার পর অভিনেত্রীর প্রথম ছবি ‘হাবজি-গাবজি ‘ এছাড়াও আরেকটি ছবি রয়েছে যেটার নাম ‘ধর্মযুদ্ধ’। বর্তমানে তিনি ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ বিচারকের আসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। ৯ মাস মতো হল মা হয়েছেন অভিনেত্রী, আর মাতৃত্বের পর স্বাভাভিক ভাবেই বেশ খানিকটা ওজন বেড়েছে তার। এবং যারা মা হয়েছেন, তারা জানেন প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই মেয়েদের শরীরে এই পরিবর্তন আসে।
কিন্তু এবার এই ওজনের কারণেই বিপুলভাবে সোশ্যাল বুলিংয়ের শিকার হলেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলি। আসলে, ‘ডান্স বাংলা ডান্সের’ সেটে অভিনেতা জিতের সঙ্গে একটি ছবিতে ধরা দিয়েছিলেন শুভশ্রী। ছবিতে অভিনেত্রীকে দেখা গিয়েছে, সবুজ রঙের শাড়ি, সবুজ রংয়ের স্লিভলেস ব্লাউজ, মাথায় রয়েছে গোলাপ ফুল, গলায় রয়েছে হার। অভিনেতা পরেছেন লাল রঙের একটি পাঞ্জাবি এবং একটি জ্যাকেট।
আর এই ছবিতেই ধেয়ে এসেছে নোংরা কটাক্ষ। অভিনেত্রীকে ‘ মুটকি ‘,’ মোটাশ্রী ‘,’ হাতি ‘,’ কুমড়ো ‘,’ নায়িকা হওয়ার অযোগ্য ‘ এহেন নানান মন্তব্য করা হয়েছে। এই প্রথম নয় যুবান হওয়ার পর থেকেই নানান ভাবে বডিশেমিং-এর শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলি। একবার লাইভে এসে এর যোগ্য জবাবও দিয়েছিলেন তিনি।
কদিন আগে লাইভে এসেছিলেন শুভশ্রী, তখন এক নেটিজেন প্রশ্ন করেন, ‘ দিদি তোমায় নিয়ে বিশেষত তোমার মোটা হওয়া নিয়ে খুব ট্রোল হচ্ছে আজকাল, কিন্তু তুমি কিছু বলছো না কেন?’ এই প্রশ্নটি চোখে পড়া মাত্রই দারুন উত্তর দিয়েছিলেন শুভশ্রী। প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যারা ট্রোল করছে মোটা হওয়া নিয়ে তারা জানেই না মা হওয়া কতটা আনন্দের। মা হতে গেলে কি কি করতে হয় তা তারা জানেনা, তাই ট্রোল করছে।
এখানেই শেষ নয়, এরপর অভিনেত্রী আরো বলেছেন। শুভশ্রীর মতে ‘আমি মোটা হয়েছি ঠিকই, তবে মোটা হয়েছি ট্রোল আমার মোটেও গায়ে লাগে না। বরং তাঁদের ট্রোল আমায় রোগা হওয়ার জন্য আরো মোটিভেশন দেবার কাজ করবে। সত্যি বলতে আমি মোটা হওয়াটাকে প্রশংসা হিসাবেই নিচ্ছি’। শুভশ্রীর এই জবাবের প্রশংসা করেছেন অনেকেই।