নারীর ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গে বরাবরই সরব থেকেছেন প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেন (Susmita Sen)। কিন্তু তিনিও বাদ যাননি পুরুষের অবাঞ্ছিত হাতের স্পর্শ থেকে। আসলে নারীদের জীবনটাই এমন ৮ থেকে ৮০ বয়স যাই হোক না কেন পুরুষদের ‘নোংরা’ স্পর্শ বা দৃষ্টির শিকার হননি এমন মহিলা হাতে গোনা। মুম্বইয়ে নারী সুরক্ষা নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চিফ গেস্ট হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন আর সেখানে গিয়েই নিজের যৌন হেনস্থা হওয়ার গল্প সকলকে জানান তিনি।
আজকাল ‘মি টু’ মুভমেন্ট অনেকটাই জোরদার হয়েছে, কিন্তু তাতেও মহিলাদের উপর অত্যাচার কিন্তু বিন্দু মাত্র কমেনি। তবু দমে জাননি বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীরাও। এবার এই নিয়ে মুখ খুলেছেন সুস্মিতা সেন খোদ৷ যদিও সুস্মিতা সেনের এই ঘটনার সঙ্গে কোনো অভিনেতার সম্পর্ক নেই, বরং তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার নেপথ্যে একটি ১৫ বছরের তরুণ।
সুস্মিতা জানান, মুম্বইয়ে এক পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে প্রবেশের সময় হঠাৎই নিজের শরীরে অবাঞ্ছিত হাতের স্পর্শ অনুভব করেন সুস্মিতা। খারাপ স্পর্শ বুঝতে পেরেই অভিনেত্রী ভীড়ের মধ্যেই চেপে ধরেছিলেন সেই ব্যক্তির হাত। এবং ভীড় থেকে সেই দোষীকে সরিয়ে আনার পর অবাক হয়ে যান অভিনেত্রী নিজেই। তিনি দেখেন তিনি যার হাত ধরে রয়েছেন সে একটি ১৫ বছরের তরুণ।
তবে সেইখানে সিন ক্রিয়েট না করে ছেলেটিকে সকলের আড়ালে নিয়ে গিয়ে বোঝান সুস্মিতা। নায়িকার কথায়, তিনি চাইলেই চিৎকার করতে পারতেন। কিন্তু করেননি, কারণ এতে ছেলেটির পুরো জীবন নষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু অভিনেত্রী তাকে একটি সুযোগ দিয়ে শেখাতে চেয়েছিলেন। তাকে ক্ষমা চাইতে বলেন অভিনেত্রী, পরে যদিও বেগতিক বুঝে অপরাধ স্বীকার করে নেন সে।
সুস্মিতার কথায় এখনও অনেক বাড়ির লোকেরাই তাঁদের ছেলেদের শেখান না, কীভাবে মেয়েদের যোগ্য সম্মান দিতে হয়। এই জন্যেই অনেক পুরুষেরা এটাকে দোষ বলেই মনে করেন না। আবার অনেক নারীরাও যৌন হেনস্থা নিয়ে সরব হতে ভয় পান। কিন্তু প্রত্যেক নারীর উচিত দোষিকে যোগ্য সহবত শেখানো। তিনি সেই কাজটাই করেছিলেন।