বাড়ির বয়স্কদের তো বটেই মধ্যবয়সী থেকে শুরু করে ছোটদেরও রানী রাসমণি (Rani Rashmoni) সিরিয়াল দেখতে বেশ ভালই লাগে। ঐতিহাসিক কাহিনী হলেও সিরিয়ালের প্রতিটি চরিত্রের অভিনয় সিরিয়াল কে যেন আরো প্রাণবন্ত করে তুলেছে। এই কারণেই তিন বছরে সহস্র পর্ব পেরিয়েও অম্লান সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা। সিরিয়ালের ভিড়ে টিআরপি তালিকা কিছুটা ওঠানামা থাকলেও নিজের স্থান কিন্তু ধরে রাখতে পেরেছে রানী রাসমণি।
২০১৭ সালে শুরু হয়ে আজও একইরকম জনপ্রিয়তা রয়েছে রানী রাসমণি সিরিয়ালের। ভারতবর্ষের ইতিহাসের ঐতিহাসিক নারী চরিত্র ছিলেন রানী রাসমণি দেবী। তার জীবন কাহিনীকেই ধারাবাহিকের রূপে তুলে ধরা হয়েছে টিভির পর্দায়। আর ঐতিহাসিক এই চরিত্র দারুণ ভাবে দর্শকদের সামনে তুলে ধরেছেন সিরিয়ালের রানীমা চরিত্রের অভিনেত্রী।
সিরিয়ালে রানীমা তথা রানী রাসমণির চরিত্রে অভিনয় করছেন দিতিপ্রিয়া রায়। স্কুল জীবনে পড়াকালীনই শুরু করেছিলেন অভিনয়। অনেক ছোট থেকেই হয়েচিল অভিনয়ের হাতে খড়ি। অল্প বয়সেই দিতিপ্রিয়া নিদারুণভাবে তুলে ধরেছে কিশোরী রানি রাসমণি থেকে বৃদ্ধ রানীমার চরিত্রকে। যেখানে অনেকেই বয়স বেড়ে যাবার ভয় পান সেখানে অল্প বয়সেই বৃদ্ধ রানীমার চরিত্রে তার অভিনয় সত্যি প্রশংসনীয়।
আজ বংট্রেন্ডের পর্দায় রানীমা অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়ার আসল পরিচয় রইল আপনাদের জন্য। ২০০২ সালে কলকাতাতেই জন্মঅগ্রহণ করেছিলন অভিনেত্রী। বর্তমানে দিতিপ্রিয়া অষ্টাদশী, আগামী ১৮ই অগাস্ট ১৯ বছরে পা দেবে সে। খুব ছোট বেলাতেই প্রথম অভিনয়ের সুযোগ আসে। ‘অপরাজিত’ নামের বাংলা সিরিয়ালে বাঙালি অভিনেত্র যীশু সেনগুপ্তের সাথে অভিনয় করেছিলেন ছোট্ট দিতিপ্রিয়া।
এরপর নবম শ্রেণীতে পড়াকালীন রানী রাসমণি সিরিয়ালে মূল চরিত্র রানী রাসমণির ভূমিকায় অভিনয়ের সুযোগ পান দিতিপ্রিয়া। বয়সে ছোট হলেও শুরু থেকেই নিজের অভিনয়ের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন দিতিপ্রিয়া। আজ তিন বছরের বেশি সময় পেরিয়ে প্রতিটা বাঙালির মনে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি অভিনেত্রী কলেজের প্রথমবর্ষে শেষ করেছেন। অভিনয় ছাড়াও গান শুনতে ও ঘুরতে যেতে ভালোবাসেন দিতিপ্রিয়া। সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ সক্রিয়। জনপ্রিয়তার জেরে লক্ষাধিক অনুগামীদের রয়েছে তাঁর। ফটোশুট থেকে শুরু করে ঘুরতে যাবার মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে নেন অনুগামীদের সাথে। এছাড়াও গান শুনতে ভালোবাসেন দিতিপ্রিয়া। পারেন দারুন সুন্দর ছবি আঁকতে। নিজের আঁকার ছবিও শেয়ার করেছিলেন দিতিপ্রিয়া।