বয়সের কোনোদিনই ধারধারেন না শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। এই বয়সেও তার দৃপ্ততা, ব্যক্তিত্ব, অভিনয়, ঠোঁটকাটা স্বভাব সবই চর্চার বিষয়। বয়স বাড়লেও তিনি একফোঁটাও বাড়তে দেননা তার মনের বয়স। সপাটে স্পষ্ট কথা স্পষ্ট ভাবে মুখের উপর বলার জন্য একাধিকবার সমালোচিতও হয়েছেন তিনি। কিন্তু কোনোকিছুই তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।
স্পষ্টবাদী শ্রীলেখা মিত্রের দাম্পত্য জীবন বিশেষ সুখের হয়নি। একটি মেয়ে হওয়ার পরেও বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তাদের। কিন্তু বাবা-মায়ের ডিভোর্স হলে সন্তানের উপর যা প্রভাব পড়ে তা খুব একটা সুখকর হয়না। তাই বিচ্ছেদের পরেও শ্রীলেখা তার সন্তানকে কখনোই বাবার থেকে দূরে সরিয়ে রাখেননি। শ্রীলেখা জানান, ‘আমি আমার মেয়েকে একা মানুষ করি না। বাবা-মায়ের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় বহু সন্তানকেই তার ফল ভুগতে হয়। তাই প্রথম থেকেই আমরা ঠিক করে নিয়েছিলাম, এমনটা যেন আমাদের মেয়ের ক্ষেত্রে না হয়।’
দুজনের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় স্বামীর থেকে দূরে সরে গিয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু তিনি কখনোই চাননি তার সন্তান বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হোক। শ্রীলেখা কন্যা নিজের ইচ্ছে মতো বাবার কাছেও থাকেন, আবার মায়ের কাছেও থাকেন। বিচ্ছেদের সময়েই শ্রীলেখা এবং তার প্রাক্তন স্বামী ঠিক করে নিয়েছিলেন এর প্রভাব মেয়ের উপর তারা পড়তে দেবেন না, তাই আজও সময় পেলে একসঙ্গে সময় কাটান তারা।
শ্রীলেখা জানান, ‘আমি মনে করি, একটি শিশুর কাছে তার বাবা আর মা— দু’জনেরই গুরুত্ব আছে। তাই কখনও ওর বাবার নামে ওর কাছে নিন্দা করি না। হয়তো মজা করে কখনও বললাম, ‘‘একদম তোর বাবার মতো হয়েছিস!’’ কিন্তু সেটাও ঠাট্টার ছলেই বলা।।
মেয়ে যখন ছোট, কাজ থেকেও নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন অভিনেত্রী। মেয়ে বড় হওয়ার পরেই ফের অভিনয়ে ফিরেছেন অভিনেত্রী। তাই বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া দম্পতিদের উদ্দেশ্যে শ্রীলেখার বার্তা, ‘
স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা অনেক সময় হয় না। তাতে বিবাহ বিচ্ছেদ হতেই পারে। কিন্তু সন্তানদের নিয়ে কোনও রাজনীতি করবেন না। তাতে ওদের ভবিষ্যৎটাই নষ্ট হবে।’