সুরের জগতে এমন কিছু গুটি কতক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন যারা যুগে পর জগ নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল। এমন কিছু গান রয়েছে যা আজও এক মুহূর্তে ফিরিয়ে আনতে পার নস্টালজিয়া। পুরোনো প্রেম থেকে কত স্মৃতিমধুর মুহূর্তেরা ভিড় জমায় এই সমস্ত গান কানে আসতেই। ভাবছেন কে এমন সুরের জাদুকর? তিনি আর কেউ নন আমাদের সকলের প্রিয় আর ডি বর্মন (R D Burman) বা পঞ্চম দা (Pancham Da)।
গানের জগতে হাজারো লাখো গান তৈরী হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই সময়ের সাথে বেরিয়ে গিয়েছে মন থেকে। কিন্তু কিছু গান যে কালজয়ী। যার রেশ থেকে যায় দশকের পর দশক ধরে। এমনই কিছু গান শ্রোতাদের উপহার দিয়ে গেছেন সকলের প্রিয় পঞ্চম দা। আজ ২৭ শে জুন সেই পঞ্চম দার জন্ম বার্ষিকী।
পঞ্চম দার আসল নাম যে আর ডি বর্মন সেটা কাউকেই আলাদা করে জানাতে হবে না। তবে কিভাবে আর ডি বর্মন থেকে পঞ্চম দা হয়ে উঠলেন তিনি সেই কাহিনী হয়তো আজও অনেকের কাছে অজানা। আজ সংগীতের জগতের অন্যতম নক্ষত্র সংগীত পরিচালকের জন্মদিনে সেই কাহিনী তুলে ধরা হল বংট্রেন্ডের পর্দায়।
শুরুটা হয়েছিল অনেক ছোট থেকেই, মাত্র ৯ বছর বয়সেই গান তৈরী করেছিলেন আর ডি বর্মন। সেই যে শুরু হল তারপর থেকে একেরপর এক গান কম্পোজ করেছেন আর ডি বর্মন। আর তার প্রতিটি গানই যেন হৃদয়স্পর্শী। তবে এর থেকেও আরো বেশি মজাদার পঞ্চম নামকরণের কাহিনী।
জানা যায়, জন্মের পর আর ডি বর্মনের বাবাকে অভিনন্দন জানাতে পৌঁছান তখন কাঁদছেন তিনি। তবে, তাঁর কান্নাতেও সুরের খোঁজ পেয়েছিলেন অশোক কুমার। সা রে গা মা পা এর ‘পা’ ধ্বনির সুরেই নাকি কাঁদতেন তিনি। তাই মজা করেই অশোক কুমার বলেছিলেন, এতো দেখি পঞ্চম সুরে কাঁদে! সেই থেকেই পঞ্চম নামের উৎপত্তি। এরপর গানের জগতে বেশ পরিচিত হতে থাকেন তিনি। তবে ততদিনে পঞ্চম দা নামটা পৌঁছে গিয়েছি সকলের মুখে মুখে।
https://youtu.be/NY5ipoVUUhQ
মনে পড়ে রুবি রায়, ফিরে এসো অনুরাধা, যেতে যেতে পথে হল দেরি, শোনো মন বলি তোমায়, রিম ঝিম গিরে সাওয়ান, হামে তুমসে প্যার কিতনা, মেরি ভিগি ভিগি সি, ইদ্যাদি শতাধিক গান রয়েছে যা সংগীতপ্রেমী হোক বা সাধারণ সকল মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছে কয়েক দশক পেরিয়েও।