আজকাল পুরুষ থেকে শুরু করে মহিলা প্রায় সকলেই চুলের নানান সমস্যায় (Hair Problems) ভুগছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো কিশোর বয়সেই নারী পুরুষেরা অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যায় (White Hair Problem) ভোগেন। যেটা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে সাথেই চুল পাকতে থাকে। যার কারণ চুলের প্রোটিনের ঘাটতি। কিন্তু বর্তমানে অনেকেই কম বয়সে চুল পাকার সমস্যায় ভুগছেন।
একমাথা পাকা চুল নিয়ে বাইরে বেরোতে বয়স্করাও লজ্জাবোধ করেন। সেখানে কম বয়সে চুল পাকলে তো ঝামেলা আরো বেশি। তাই জন্য পাকা চুল লুকোতে অনেকেই রং করা শুরু করেন। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হয় অনেক সময়েই, যার ফলে বারবার রং করতেই থাকতে হয়। কারণ চুল রং করার জন্য ব্যবহৃর রাসায়নিক কেমিক্যালগুলি ক্ষতিকারক হতে পারে। আসুন আজ চুল সাদাহও ঠিক মুক্তি পাবার কিছু বিজ্ঞানসম্মত উপায় দেখে নেওয়া যাক।
চুলের প্রোটিন ঘাটতি (protein deficiency)
কারোর যদি অল্প বয়সেই চুল পাকতে শুরু করে তাহলে সেটা অস্বাস্থ্যকর চুলের ইঙ্গিত। কারণ চুলে প্রোটিনের অভাব হলেও চুল সাদা হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার মধ্যে দিয়ে চুলের সাদা হয়ে যাওয়া কমানো যেতে পারে।
শরীরে ভিটামিন এর অভাব( Vitamine deficiency)
শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি হলেও চুল অকালে সাদা হয়ে যেতে পারে। প্রধানত ভিটামিন বা-১২ এর অভাবের কারণেই এই ধরণের সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। সুতরাং চুল যদি সাদা হতে থাকে তাহলে এমন খাবার খাওয়া উচিত যাতে ভিটামিন বা-১২ থাকবে।
স্ট্রেস (Stress)
আধুনিক যুগে হয়তো অনেক কিছুই উন্নত হয়েছে। তবে আধুনিক যুগের একটি সমস্যা হল মানুষের চিন্তা বা স্ট্রেস অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। আর এই স্ট্রেসও কিন্তু চুল সাদা হয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। কারণ স্ট্রেস বেড়ে গেলে স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ হয় যেটা চুল পাকিয়ে দেয়।
দূষণ ও ধূমপান (Pollution and Smoking)
প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে পরিবেশে দূষণের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে অনেকগুণ। তাছাড়া অনেকেরই ধূমপানের নেশা রয়েছে। যারা ধূমপান করেন তাদের চুল আগে পেকে যাবার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া দূষণের কারণেও চুলের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়। যার ফলে চুল সাদা হয়ে যায়।