গতবছর থেকে শুরু করে এবছর পর্যন্ত লকডাউন থেকে শুরু করে অতিমারীর কারণে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। অনেকেই যে কাজ করতেই সেই কাজ করতে পারছেন না। তবে পেট ও আর সে কথা শুনবে না! কাজ থাক বা না থাকে পেটে খাবার দিতেই হবে। তাই অতিমারীকালেই অনেকে নিজের পেশা ছেড়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন। এমনকি অনেক অভিনেতারাও অন্য পেশায় যুক্ত হয়েছেন।
সম্প্রতি জানতে পারা গিয়েছে টলিপাড়ার এক অভিনেতা দীর্ঘ লকডাউনে কাজ বন্ধ থাকায় মাছ বিক্রিকেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। আসলে কথায় রয়েছে ‘কোনো কাজই ছোট নয়’ এই কথাটিকেই বাস্তবে রূপায়িত করে দেখালেন অভিনেতা শ্রীকান্ত মান্না। লকডাউনের জেরে গতবছর থেকে এবছর দীর্ঘদিন বন্ধ অভিনয় জগতের কাজ। কিন্তু জীবন তো আর থেমে থাকে না। তাই বাঁচার তাগিদে এখন মাছ বিক্রেতা টলিউডের বড়বড় অভিনেতাদের সাথে কাজ করা সহ অভিনেতা।
শ্রীকান্তবাবু আজ থেকে নয় দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে যুক্ত রয়েছেন অভিনয় জগতের সাথে। নাট্যমঞ্চ থেকে শুরু করে সিরিয়াল ও সিনেমা সর্বত্রই নিজের দক্ষ অভিনয়ের প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সব্যসাচী চক্রবর্তী, মিঠুন চক্রবর্তী ও আবির চট্টোপাধ্যায়ের মত অভিনেতাদের সাথে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন শ্রীকান্তবাবু। অভিনয়কে কাজ হিসাব নয় বরং ভালোবাসা হিসাবেই জীবিকা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন।
কিন্তু একথা যে ক্ষুধার্থ পেট আর পরিবারের মানুষগুলির দিকে তাকিয়ে বলা যায় না। তাছাড়া তার ওপর নির্ভর করে রয়েছে কিছু মানুষ তাদের জন্যও তো চিন্তা করতে হবে তাকেই। তাই সংসার চালানোর তাগিদে তিনি আজ মাছ বিক্রেতা। প্রতিদিন নিয়ামকরে ভোর পাঁচটা থেকে বারোটা কি একটা পর্যন্ত মাছ বিক্রি করছেন। সেই টাকা দিয়েই চলছে সংসার।
তবে আশাহত নন শ্রীকান্তবাবু, তার মতে এই খারাপ সময় নিশ্চই কেটে যাবে একদিন। এরপর অভিনয়ের ডাক পেলে আবারো অভিনয়ে ফিরবেন তিনি। আর মাছ বিক্রির পেশা বেঁচে নেওয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যদি আমায় অভিনয়ের জন্যই মাছ বিক্রেতা হতে হত! তখন তো আর না বলতে পারতাম না তাহলে আজ কেন পারবো না? কোনো পেশাই ছোট নয়।
শ্রীকান্তবাবুর এই কাহিনী অনেককে অনুপ্রাণিত করতে পারে। অভিনেত্রী শ্রীলেখা অমিতর তার কথা জানতে পেরে কুর্নিশ জানিয়েছেন তাকে। অভিনেত্রী নিজের