২০১৬ সালের ১৮ ই নভেম্বর কেন্দ্রের ডি-মানিটাইজেশনের ফলে রাতারাতি বাতিল হয়ে গিয়েছিল পুরোনো ৫০০, ১০০০ টাকার নোট। আর তারপরই বাজারে এলো নতুন ৫০০, ২০০০ টাকার নোট। চিরতরে উঠে গেল ১০০০ টাকার নোট। সরকার থেকে সেই সময় পুরোনো ৫০০ টাকা ১০০০ টাকা ব্যাঙ্কে জমা করার জন্য নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল।
তখন যারা নোট জমা করতে পারেননি তাদের জন্য এখন যেন সোনায় সোহাগা। আপনার কাছে এখন যদি থেকে থাকে পুরোনো ৫০০ টাকার নোট তাহলে তার থেকে আপনি পেতে পারেন ১০,০০০ টাকা।
তবে একটি বিশেষ ৫০০ টাকার নোট থেকেই আপনি পেতে পারেন এই সুযোগ। কি ধরণের নোট থাকতে হবে আপনার কাছে? আসলে এই নোটগুলি ভুল করে ছাপা একটি নোট। আসলে টাঁকশালে যখন টাকা ছাপানো হয় তখন একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন মেনে ছাপানো হয়, যার কারণে সমস্ত নোট দেখতে একরকম হয়। কিন্তু সেই সময় যদি কোনো কারণে কিছু এদিক ওদিক হয়, এবং সেই নোট যদি বাজারে চলে আসে তবেই তার মূল্য কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
পুরোনো ৫০০ টাকার নোটে অনেকসময় সিরিয়াল নম্বর দুবার ছাপা হয়ে গিয়েছিল। সেই নোট এখন বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। আবার অনেক সময় ৫০০ টাকার নোটের প্রান্তের কাগজ কেটে বাদ দিতে ভুলে যায়। এমন অতিরিক্ত কাগজ থাকা নোটের দাম ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই ধরণের নোট আপনি oldindiacoins.com এ বেচতে পারেন। নিজের নাম দিয়ে রেজিস্টার করতে হবে। আপনার কাছে থাকা নোটের ছবি দিয়ে পোস্ট করতে হবে। কেউ নিতে চাইলে আপনার সাথে যোগাযোগ করে নেবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৫ সালের আগের পুরোনো দিনের ১ টাকার কয়েন (1 rupee coin) যদি আপনার কাছে থেকে থাকে তবে সেটা বিক্রি করে আপনি হতে পারেন কোটিপতি। জিনিস পত্র বেচার বিস্বাসযোগ্য সাইট OLX এ আপনি নিজের নাম রেজিস্টার করে কয়েনটি বিক্রিও করতে পারবেন।