গত কয়েকদিন ধরেই হাজার ভালো কাজ করলেও বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়তে চাইছেনা ইমন চক্রবর্তীর (Iman Chakraborty)। এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাসোনের কিছু ছবি পোস্ট করতেই তাকে নোংরা কু-ইঙ্গিতপূর্ণ আক্রমণ করে এক যুবক।
মাথা ঝুঁকিয়ে পাএর কাছে নিয়ে গিয়ে একটি ছবি শেয়ার করেন গায়িকা, আর তাতেই এক যুবক মন্তব্য করেন “এভাবে ২০ মিনিট সময় দেবে তাড়াতাড়ি করে ফেলবো”। আর তার এই কমেন্ট ঘিরেই শুরু হয় তুমুল চাঞ্চল্য। যদিও চুপ করে থাকেননি গায়িকা নিজেও। যুবক সরাসরি কিছু না বললেও তার মন্তব্য যে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণই সেকথা বুঝতে কারোরই সমস্যা হয়নি।
এই যুবককে নেটনাগরিকরাই উত্তম মধ্যম দেওয়া শুরু করেছিলেন৷ অবশেষে ইমন এসে বলেন, “হ্যাঁ, তুমি অনেক কিছু পার ভাই, তা কী করবে বলছিলে…?” ইমনকে নেটবাসী পরামর্শ দেন ইমিডিয়েটলি সাইবার সেলে যোগাযোগ করতে, কেউ বলেন, “সেলিব্রিটিরা কি এভাবেই সফট টার্গেট হয়ে থেকে যাবেন আজীবন?” আর একজন লেখেন, “এটা তো সাইবার ক্রাইম। এভাবে কোনও ব্যক্তিকে যৌনইঙ্গিত করা শুধু কুৎসিতই নয়, আইনের চোখে অপরাধও।”
ইমন জানান ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলে ঘটনাটি জানিয়েছেন ইমন, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। যদিও এই কমেন্ট নিয়ে হুলুস্থুল শুরু হওয়ার পর পরই ওই ব্যক্তি কমেন্টটি ডিলিট করে দেন, এবং তার ফেসবুক প্রোফাইলটির অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
প্রসঙ্গত, ত্রাণ বিলি করতে গিয়েও নানান কটাক্ষ শুনতে হয়েছে ইমনকে। কিছুজনকে পাশে পেলেও স্বভাবতই অসংখ্য সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে গায়িকাকে। কেউ বলছেন ‘প্রচার’ তো কেউ বলছেন ‘ভোটে দাঁড়ানোর ছক’। এই সব ট্রোলের জবাবে ইমন সাফ লেখেন, ‘আমি একজন সঙ্গীতশিল্পী। গত ১ বছর ধরে হাতে গুনে ১০টা শো করেছি। আমার মতো সব শিল্পীর প্রায় একই অবস্থা। তা ঠিক আছে। চলে যাচ্ছে। তা, এই যো বিভিন্ন জায়াগায় গিয়ে ‘ত্রাণ’ দেওয়ার ছবি ভিডিয়ো দেখে যাদের মনে হচ্ছে যে নিজের প্রচার করছি বা ভোটে দাঁড়ানোর কাজকর্ম শুরু করছি…বা যারা প্রত্যেক মুহূর্তে অশালীন কথা বলে চলেছেন তাদের একটা কথা বলি.. আপনাদের প্রত্যেকটা খারাপ কথা কিন্তু আমাকে এগিয়ে নিয়েই যাচ্ছে। আমি কিন্তু পিছিয়ে যাচ্ছি না। আর যাবও না। অনেক ধন্যবাদ যারা যারা আমার অ্যাডভার্টাইজ়মেন্ট দেখে ডোনেট করছেন…আপনাদের জন্য প্রায় তিন হাজার মানুষ খেতে পেয়েছেন, এক বেলা হলেও। ভাল রাখাটা একটা আর্ট। ওটা সবাই পারে না। আমি মন থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাদের যাঁরা আমার পাশে আছেন। ধন্যবাদ। ইমন।’