কিংবদন্তি গায়ক তথা অভিনেতা কিশোর কুমার (Kishore Kumar)। তার সম্পর্কে যতটাই বলা হোক না কেন কম বলা হবে। একসময় তার কণ্ঠের গান শোনার জন্য উপচে পড়তো লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়। অবশ্য এখনো কিশোর কুমারের গাওয়া গান এভার গ্রিন হয়ে রয়েছে প্রতিটি বাঙালি তথা দেশবাসীর মনে। ভালো গায়ক হবার পাশাপাশি দারুন মজার মানুষ ছিলেন কিশোর কুমার।
বাঙালি হওয়ার দরুন খাওয়া দেওয়ার প্রতি বেশ আকর্ষণ ছিল তাঁর। এককথায় একেবারে খাদ্যরসিক ছিলেন কিশোর কুমার। নিমন্ত্রণে খেতে ধরুন পছন্দ করতেন কিশোর কুমার। ভালোবাসতেন লোককে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতেও। মাঝে মধ্যেই পরিচিতদের নিজের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করতেন খাওয়া দেওয়ার জন্য।
একেবারে বাঙালি রান্না পছন্দ করতেন তিনি। লুচি, আলুরদম, বেগুন ভাজা, মাংস ইত্যাদি। অবশ্য খাবারের নিমন্ত্রণ সীমিত থাকত খাবারেই। অনেকেই মদ্যপান করার আশাতেও যেতেন কিন্তু সেগুড়ে বালি! মদ্যপান একেবারেই পছন্দ করতেন না কিশোর কুমার।
বহু প্রযোজক ও সুরকারের আনাগোনা ছিল কিশোর কুমারের বাড়িতে। প্রত্যেকের মুখেই তাঁর বাড়ির খাবারের প্রশংসা শোনা যেত। ইলিশ মাছ দারুন পছন্দ করতেন কিশোর কুমার। এমনকি এই ইলিশ মাছ ঘুষের কাজ করত মাঝে মধ্যে প্রযোজকদের কাছে। কারণ বিখ্যাত শিল্পী হওয়ায় কিশোরের থেকে রেকর্ডিং বা শুটিংয়ের জন্য ডেট পাওয়া ছিল বেশ মুশকিলের ব্যাপার।
তবে প্রযোজকরা একটি উপায় বের করেছিলেন, সেটি হল ইলিশ মাছ। ইলিশ মাছ নিয়ে কিশোর কুমারের বাড়িতে হাজির হলেই ঝটপট পাওয়া জেট তার ডেট। এই ভাবেই রীতিমত ঘুষের কাজ করত ইলিশ মাছ। তবে ভোজন রসিক হলেও দুটি খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতেন তিনি।
হার্টের সমস্যা ছিল কিশোর কুমারের। হৃদ রোগে আক্রান্ত হবার পর থেকে সিঙ্গারা থেকে একেবারে দশ হাত দূরে থাকতেন তিনি। এছাড়া আরেকটি খাবার খেতেন না সেটা হল বিরিয়ানী। কিশোর কুমারের মতে বিরিয়ানি খেলে গলা দিয়ে সুর বেরোয় না ভালো করে তাই রেকর্ডিংয়ে আগে কখনোই বিরিয়ানি খেতেন না।