বাংলা সিরিয়াল (Bengali serial) থেকে ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ দিয়ে কেরিয়ারের শুরু অল্প দিনের মধ্যেই নিজগুণে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছান ঋতাভরী চক্রবর্তী (ritabhari Chakrabarty) । সেদিনের সেই ছটফটে ছোট্ট ললিতা আজকাল টলিপাড়ার নয়া সেনসেশন। অভিনয়ের পাশাপাশি চাবুক ফিগার, মিষ্টি হাসি, আবেদনময়ী চাহনি আর সাহসীকতার কারণে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। টলিউডের সিনেমার পাশাপাশি বলিউড, ওয়েব সিরিজ, মিউজিক ভিডিও সবমিলিয়ে তার কাজের অভাব নেই।
অভিনয়ের পাশাপাশি সবেতেই যেন তিনি দশভূজা। ইতিমধ্যেই একাধিক গানও গেয়ে ফেলেছেন তিনি। শুধু তাইই নয় কেরিয়ার, অভিনয়, প্যাশন সামলেও লেখাপড়াটাকেও পুরোদমে চালিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন পড়ছিলেন অভিনেত্রী। পড়াশোনার প্রতি তার আগ্রহ তখনই প্রকাশ পেয়েছিল যখন করোনাকালে হাসপাতালের বিছানায় বসেই অনলাইন ক্লাস করতে দেখা গিয়েছিল ঋতাভরীকে।
এবার সেই খাটনিরই ফল পেলেন অভিনেত্রী। গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পর মঙ্গলবার কাকভোরে অনলাইনে হল তাঁর সমাবর্তন অনুষ্ঠান। এদিন ‘ ‘গ্র্যাজুয়েশন রোব’ পরেই সসম্মানে শংসাপত্র গ্রহণ করলেন অভিনেত্রী। তার এই সাফল্যে গর্বিত অভিনেত্রীর মা শতরূপা স্যানালও। তিনি কাছ থেকে দেখেছেন মেয়ের পরিশ্রম।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋতাভরীর সাফল্যের খবর ভাগ করে নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ আজ ঋতাভরী UCLA( University of California ) থেকে গ্রাজুয়েট হল।দুটো সার্জারি, লকডাউনের মানসিক চাপ, সব কিছু কে মোকাবিলা করেই একটানা ক্লাস করত কাক ভোর থেকে! পুরো অনুষ্ঠান টাই ছিল অনলাইন। আমি উপস্থিত থেকে দেখলাম!! মেয়ে এই বছরের সেরার পুরস্কার জিতল, তারও গৌরবের সাক্ষী রইলাম!!’
এই বিশেষ দিনে অল্প করেই সেলিব্রেশনের আয়োজন করেছিলেন অভিনেত্রী৷ কেননা, ঋতাভরীর কথায়, ‘আজ আমি খুশি, এক্সাইটেড এবং প্রচন্ড আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। এই সত্যি একটা স্মরণীয় বছর! আসলে ২০১৮ সালেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে admission নিয়েছিলেন অভিনেত্রী৷ কিন্তু কাজের চাপে মার্কিন মুলুক উড়ে গিয়ে পড়াশোনা চালানো তার পক্ষে সম্ভব হয়নি।
তবে করোনার অনলাইন ক্লাস তাকে ফের সুযোগ করে দিল। এই অনলাইন ক্লাস শুরু হতেই ঋতাভরীকে তাঁর কোর্স শেষ করবার কথা জানান, তাঁর প্রোগাম হেড ব্রায়ান ফাগান। সঙ্গে সঙ্গে হ্যাঁ, বলে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ঋতাভরী লিখেছেন, ‘এটাই আমার জীবনের সেরা হ্যাঁ বলা’।