আজকাল অনেকের মুখেই শুনতে পাওয়া যায় যে অ্যাপল সিডার ভিনিগার (Apple Cider Vinegar) নাকি শরীরের জন্য দারুন উপকারী। এতে একটিমাত্র গুণ নয় রয়েছে একাধিক গুন। শরীরের ওজন কমানো (Weight Loss) থেকে শুরু করে ব্লাড সুগার (Blood Sugar) কমাতে দারুন কার্যকরী এই অ্যাপল সিডার ভিনিগার। তবে যেকোনো অ্যাপল সিডার ভিনিগার নিয়ে চলে এলে আর সেটা খেতে শুরু করলেই কাজ হবে না।
আজ বংট্রেন্ডে আপনাদের জানাবো অ্যাপল সিডার ভিনিগারের উপকারিতা ও ব্যবহার। কিভাবে এটি খেলে খাবার দাবারে খুব একটা পরিবর্তন না করেও মাসে ২-৩ কেজি ওজন কম করে ফেলা যায়। তবে সবার প্রথমেই জেনে রাখা উচিত এটি তৈরির পদ্ধতি।
- মূলত দুটি ধাপে তৈরী করা হয় অ্যাপল সিডার ভিনিগার। প্রথমে আপেল ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে তাতে একপ্রকার ছত্রাক মেশানো হয়। এরফলে আপেলের মধ্যে থাকা শর্করা অ্যালকোহলে পরিণত হয়।
- এরপর এই অ্যালকোহোলের মধ্যে অ্যাসিটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া মিশিয়ে ফার্মেন্টেশন করা হয়। যার ফলে মিশ্রণটি ভিনিগারে পরিণত হয়।
- অ্যাপল সিডার ভিনিগার মূলত যেকোনো ব্যক্তিই খেতে পারেন। এমনকি এটি খাবার জন্য দৈনিন্দিন খাওয়া দাওয়াতে বা লাইফস্টাইলে কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।
- প্রতিদিন সকালে উষ্ণ গরম আধ কাপ বা এক কাপ জলের মধ্যে দু চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খেলে দারুন উপকার পাওয়া যাবে। তবে এটির স্বাদ খানিকটা পাতিলেবুর মত ত্বক ও কষা, তাই চাইলে আপনি মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
- অ্যাপেল সিডার ভিনিগার শরীরের ফ্যাট কমাতে দারুন উপকারী। কারণ এটি দেহের বিকাপ ক্রিয়ার ওপর প্রভাব ফেলে যার ফলে শরীরের অবাঞ্চিত ফ্যাট দূর নয়। এছাড়াও স্ট্রেস কন্ট্রোল, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ ও ফাঙ্গাল ইনফেকশনের ক্ষেত্রেও এটি বেশ উপকারী।