পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র সহ অন্যান্য মাধ্যমে বারংবার ব্যবহৃত হয়েছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের (Bankim Chandra Chatterjee) বিখ্যাত উপন্যাস (Novel) ‘কপালকুন্ডলা’ (Kapalkundala)। সম্প্রতি বাংলা ধারাবাহিকের (Serial) গল্প হিসেবেও বেছে নেওয়া হয়েছে এই যুগান্তকারী উপাখ্যানকে। যদিও সেই কুখ্যাত কাপালিককে ঘিরে হঠাৎই সরগরম নেট-দুনিয়া!
নেটিজেনমহলের নিশানায় এইবারে কপালকুন্ডলা ধারাবাহিকের (Serial) ‘কাপালিক’। নেটিজেনদের (Netizen) সাফ কথা, “তিনি শুধুই তান্ত্রিক নন, ‘হট তান্ত্রিক’”। পাশাপাশি মহিলাদের উদ্দেশে পুরুষ নেটিজেনদের সাবধানবাণী, “এর পাল্লায় কোনও মেয়ে যেন আবার না পড়ে। যতই হট হোক, ইনি কিন্তু কাপালিক!” স্বভাবতই কাপালিককে ঘিরে কেন এই অহেতুক মাতামাতি, সে প্রশ্ন উঠেছে অনেকের মনেই।
যদিও নেটিজেনদের উত্তর, এই উন্মাদনা ‘অহেতুক’ নয়। ‘কপালকুণ্ডলা’ ধারাবাহিকের হাত ধরে ছোট পর্দায় অভিষেক হয়েছে অভিনেতা দেবজ্যোতি রায় চৌধুরীর (Debjyoti Roy Chowdhury)। ধারাবাহিকে কাপালিকের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। যদিও নেট-মহলে তান্ত্রিক হিসেবেই বহুল পরিচিত হয়ে উঠেছেন দেবজ্যোতি। এ প্রসঙ্গেই অভিনেতাকে ‘হট তান্ত্রিক’ আখ্যা দিয়ে বসেছেন একাধিক নেটাগরিক। কাপালিকের অনুরাগীদের একটাই দুঃখ, ” এই তান্ত্রিক এত হট, আর আমার চোখেই পড়েনি!”
বর্তমানে ‘ফেলনা’ ধারাবাহিকের মুখ্য ভূমিকায় অভিনয়রত দেবজ্যোতি। গল্পে দুই সন্তানের বাবার চরিত্রে অভিনয়ের দরুণও ট্রোলের (Troll) মুখোমুখি হয়েছেন অভিনেতা। নেটিজেনদের বক্তব্য, “কেউ দেখে বলবে যে দেবজ্যোতি ৬ বছরের বাচ্চার বাবা?” যদিও মহিলা ফ্যানদের আশ্বস্ত করে বেশ কিছু নেটিজেন জানিয়েছেন যে অভিনেতা শুধু ধারাবাহিকেই বাচ্চার বাবা, আদতে দেবজ্যোতি নাকি ‘মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলর’!
সম্প্রতি ট্রোলের শিকার হওয়ার বিষয়ে বেশ খোলাখুলি সংবাদমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রেখেছেন দেবজ্যোতি। অভিনেতার সাফ কথা, “এইসব বিষয়গুলো চোখে পড়লে বেশ ভালোই লাগে। ঘটনাগুলোকে উপভোগই করি কারণ এটা বুঝি যে মানুষ আমাকে নিয়ে ভাবছেন। কেউ যখন নিজের সময় নষ্ট করে ঠাট্টা বা উপহাসে মন দেন, সেটা সত্যি এমস্র জন্য জরুরি!”
নেট-মহলে ‘কাপালিক’-আলোচনা যে দেবজ্যোতির পরিচিতি আদতে বাড়িয়ে দিচ্ছে, সে সম্বন্ধে নিঃসন্দেহ সকলেই। খারাপ হোক বা ভাল, ধারাবাহিককে উপেক্ষা করতে যে কেউই পারেন না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত দেবজ্যোতি। অভিনেতার কথায়, “আমার অভিনয় করতে ভাল লাগে, তাই অভিনয় করি। সমালোচকদের সমালোচনা করতে ভাল লাগে, তাই তাঁরা সমালোচনা করেন।”