কথায় আছে ফলের রাজা আম (Mango)। আর গরম পড়া মানেই চারিদিকে আমের বিক্রি তুঙ্গে। এই সময় বাজারে গেলেই চারিদিকে নানা ধরণের আম দেখতে পাওয়া যাবে। নানান রঙের নানা জাতের কাঁচা থেকে শুরু করে পাকা আম দেখে শেষ করা যাবে না। তাছাড়া কেউ কম দামে ভালো জিনিস বিক্রি করে তো কেউ আবার চড়া দামে ঠকিয়ে দেয়। অর্থাৎ মিষ্টি আমি বলে বিক্রি করলে আদতে সেই আমি মিষ্টিতো হয়ই না বরং টক বেরোয়।
সাধারণত আমাদের বেশ কয়েকটি প্রচলিত জাত আমাদের বাজারে পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে সবচাইতে বেশি পাওয়া যায় – ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, হিমসাগর এই জাতীয় আমগুলি। তবে হিমসাগর আম খেতে সবথেকে বেশি মিষ্টি বলেই জানা যায়। তবে স্বাদ, গন্ধ আর রঙের দিক থেকে প্রতিটি আমি আলাদা রকমের হয়ে থাকে। আজ আপনাদের জানাবো কিভাবে ভালো আম চিনতে পারবেন সহজেই। যাতে দোকানদার আপনাকে আর বোকা বানাতে পারবে না।
- বাজারে আম কিনতে গিয়ে আম কেনার সময় আমের গায়ে আঙ্গুল দিয়ে টিপে দেখুন। পাকা আমি হলে নরম হবে ঠিকই তবে যদি গায়ে টিপলে যদি গর্ত হয়ে যাবে সেই আমি কিনবেন না।
- গন্ধ দিয়েও মিষ্টি আম চেনা সম্ভব। কেনার সময় আম হাতে নিয়ে আমের বোটার কাছে শুকে দেখুন। যদি হালকা মিষ্টি গন্ধ বের হয় তাহলে আম মিষ্টি হবে আর যদি টক গন্ধ বের হয় তাহলে আম টক হবে।
- অনেকেই কাঁচা আম পাকানোর জন্য কার্বাইড ব্যবহার করে থাকেন। সেই সমস্ত আমি না কেনাই ভালো। এরজন্য একটি ভালো উপায় হল একেবারে পরিষ্কার চকচকে দেখতে সুন্দর আম না কিনে যে আমের গায়ে কিছুটা কষ লেগে থাকবে সেই আম কিনুন। কারণ আম গাছ পাকা হলে ছিঁড়তে গেলে রস গড়িয়ে পরে। সেটাই কষের দাগের মত হয়ে যায়।
- তবে হ্যাঁ আম কেনার সময় আমের খোসার দিকেও দেখতে হবে। যদি আমের খোসা কুঁচকে গিয়ে বা ভাগ হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে সেই আম না কেনাই ভালো। যে আমের খোসা মসৃণ সেই আমি ভালো হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি।