দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতিতে নাস্তানাবুদ মানুষ। ফি দিনেই লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। কোনো ভাবেই মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছেনা সংক্রমন। ইতিমধ্যেই বেহাল গোটা দেশের চিকিৎসা পরিষেবা এর মাঝেই নতুন আশঙ্কা দানা বাঁধছে।
করোনার পর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস দানা বাঁধছে আক্রান্তদের শরীরে। গোটা দেশের পাশাপাশি, খোদ বাংলাতেও মিলেছে এর নজির। করোনা রোগীদের এই ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হলেও, যেকোনো সুস্থ মানুষও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
তাই করোনা সতর্কতার পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ বা কালো ছত্রাকে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানা জরুরী। কারণ এটা প্রাণহানীর কারণ হতে পারে। মিউকরমাইকোসিস ছত্রাকের আক্রমণে এই রোগ হয়।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের লক্ষণ :
কালো ছত্রাক সংক্রমণের কারণে নাকে ব্যথা ও ফোলাভাব দেখা দেয়, গালে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, মুখে এবং চোখের পাতায় ছত্রাকের ছোপ দেখা দেয়।
যাদের মধ্যে এর সংক্রমণ ঘটেছে, তাদের মাথা ব্যথা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মুখের একপাশ ফুলে যওয়া, চোখ ফুলে যাওয়া বা চোখে ব্যথা করা, চোখের পাপড়ি ঝরে পড়া, ঝাপসা দেখা এবং এক সময় দৃষ্টি হারানোর মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
কারও কারও ক্ষেত্রে নাকের আশপাশে চামড়ায় কালচে দাগ দেখা দিতে পারে।
কীভাবে ছত্রাক শরীরে প্রবেশ করে?
ভারতে এই ছত্রাকে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে মূল কারণ হল কৃত্রিম অক্সিজেন সরবরাহের অপরিচ্ছন্ন পদ্ধতি। সেই সঙ্গে ভূমিকা রাখছে ‘কোভিড-১৯’য়ে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় বাছবিচারহীন-ভাবে ‘স্টেরয়েড’য়ের ব্যবহার। তবে এই ছত্রাক ছোঁয়াচে বা সংক্রামক নয়।