লিউডের ভাইজান সালমান খানের (Salman Khan) বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘রাধে (Radhe)’। ইতিমধ্যেই ওটিটি প্লাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। অ্যাকশন রোমান্সে ভরপুর রাধে ছবিতে সালমান খানের বিপরীতে দেখা গিয়েছে বলিউডের নায়িকা দিশা পাটানিকে (Disha Patani)। রাধে ছবির রিলিজের আগে ট্রেলার প্রকাশ্যে আসতেই দেখা গিয়েছিল টাব্যু ভেঙে ফেলেছিলেন ভাইজান। বলিউডের ব্যাচেলার ভাইজান ৩২ বছরে প্রথমবার অন স্ক্রিনে চুমু খেয়েছিলেন। এই দৃশ্য দেখার পর রীতিমত চমকে গিয়েছিলেন সকলে।
অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো দীর্ঘদিনের প্রতিজ্ঞা ভেঙে ফেলেছেন সালমান খান। তবে আসল ঘটনাটা ছিল অন্যরকম। আসলে দিশা পানির মুখে সেলোটেপ লাগিয়ে চুমু খেয়েছিলেন সালমান। অর্থাৎ ক্যামেরার সামনে চুমু খেলেও আদতে কিন্তু নো চুমু!
তবে এত ঢাক ঢাক গুড় গুড়ের পরেও রিলিজের পর দর্শকদের এন্টারটেইন করতে একেবারেই ব্যর্থ এই ছবি। প্রতীক্ষিত এই ছবিটি আসলে সালমান খানের ‘ওয়ান্টেড’ ছবিটি সিক্যুয়াল হিসাবে রিলিজ হয়েছে বলে বলা হচ্ছিলো। আর ছবির পুরো নাম ‘রাধে : দ্যা মোস্ট ওয়ান্টেড’। তবে যতটা আশা করা হয়েছিল তার নাকি কিছুই নেই ছবিতে। ছবি দেখে এমনই মন্তব্য দর্শক থেকে শুরু করে সমালোচকদের।
দর্শকরা এই ছবি নিয়ে এতটাই উচ্ছ্বসিত ছিলেন যে, মুক্তির দিন কিছু সময়ের জন্য ক্র্যাশ করে গিয়েছিল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম Zee 5 এবং Zee plex। কিন্তু সমস্ত আশাতেই কার্যত জল ঢেলে দিয়েছে ছবিটি। ঈমডব তে এই ছবির রেটিং মাত্র ২। সাইটে সলমন খানের যে সমস্ত ছবিকে এর আগে রেটিং দেওয়া হয়েছে, তাঁর মধ্যে সবচেয়ে কম নম্বর পেয়েছিল ‘রেস ৩’ (১.৯)। এবার তারপরেই উঠে এলো রাধে।
এতদিন বাইরে বিপুল ভাবে সমালোচিত হয়েছে ভাইজানের ছবি কিন্তু এবার তার রেশ এসে পড়ল এক্কেবারে ঘরের ভিতরেও। সলমনের ছবি ‘রাধে’র সমালোচনায় এবার মুখর হলেন তার বাবা সেলিম খান (Salim khan)। একসময় চিত্রনাট্যকার হিসেবে বলিউডে প্রবল জনপ্রিয় ছিলেন সেলিম খান। এবার তিনিই মুখ খুললেন ‘রাধে’ নিয়ে।
সেলিম স্পষ্ট জানান, “এর আগে সলমনের ছবি ছিল দাবাং ৩। যেটা অনেকটাই আলাদা ধরনের ছবি ছিল। তারও আগে বজরঙ্গি ভাইজান, যেটা ভালো সিনেমা তো ছিলই একই সঙ্গে বেশ খানিকটা আলাদাও ছিল। রাধে একেবারেই ভালো সিনেমা নয়। কিন্তু বাণিজ্যিক ছবির একটা দায়িত্ব থেকে যায়, যাতে সকলে রোজগার করতে পারে। শিল্পী, প্রযোজক, নিবেদক, এগজিবিটর, সকলেই যাতে বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত পান। যিনি সিনেমাটি কেনেন, তাঁকে যে কোনও মূল্যে টাকা ফেরত পাওয়া উচিত। এর উপর নির্ভর করে সিনেমা তৈরি এবং তার ব্যবসা চলতে থাকে। এ হিসাবে দেখলে সলমন পারফর্ম করেছে। সিনেমায় বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেয়েছেন। বাকি রাধে কোনও গ্রেট সিনেমা একেবারেই নয়”