শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বেই কমবেশি পরিচিত বলিউডের (Bollywood) কিং খান (King Khan)। সারা দুনিয়াতেই বিস্তৃত শাহরুখের (Shahrukh Khan) ফ্যানমহল। যদিও বলিউডের ‘বাদশা’ (Badshah) হয়ে ওঠার নেপথ্যে রয়েছে শাহরুখের দীর্ঘ স্ট্রাগলের কাহিনী।
মুম্বইয়ের পাকাপোক্ত বাসিন্দা হওয়ার পূর্বে দিল্লিতে ছেলেবেলা কাটিয়েছেন শাহরুখ। কিং খানের পড়াশোনা দিল্লির সেন্ট কলম্বাস স্কুলে। তবে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলোতেও এগিয়ে ছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ‘দ্য ইনার ওয়ার্ল্ড অফ শাহরুখ খান’ (The Inner World Of Shahrukh Khan) নামক ডকুমেন্টরিতে দেখা যায় অভিনেতা ফিরে গিয়েছেন ছোটবেলার শহরে। আর তখনই পুরোনো স্কুলে ফিরে গিয়ে দর্শকদের স্কুল ঘুরিয়ে দেখান কিং খান। পাশাপাশি স্কুলজীবনের কিছু মজার অভিজ্ঞতাও সকলের সামনে আনেন তিনি।
২০১৬ সালে প্রথম প্রকাশ্যে আসে সেই ডকুমেন্টরি। নিজের পুরনো স্কুলে ফিরে গিয়ে শাহরুখকে স্কুলের কিছু পুরনো সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলতে দেখা যায়। সেখানেই একজন শাহরুখকে দিল্লির মডার্ন স্কুলের এক ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেয়। “মনে আছে তুমি মডার্ন স্কুলের ছেলেদের দাঁত ভেঙে দিয়েছিলে?” এহেন প্রশ্নে চমকে উঠলেও ঘটনাটি মনে করতে বেশি দেরি হয়নি শাহরুখের। একগাল হেসে প্রত্যুত্তর দেন অভিনেতা। অন্যদিকে স্কুলের ম্যানেজমেন্ট কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে স্মৃতিকে পুনরায় ঝালিয়ে নেন অভিনেতা।
পুরোনো স্কুলের সকলের সঙ্গে আবারও কথা বলতে পারে বেশ প্রফুল্ল দেখায় কিং খানকে। সকলকে এও কথা দেন যে পরেরবার ছেলে আরয়ানকে (Aryan) নিয়ে আসবেন স্কুলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ফিল্মফেয়ারের এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ খান জানিয়েছিলেন, “এক্সপ্রেস ট্রেনের মতো দৌড়াতে পারতাম বলে স্কুলে আমার ডাক নাম ছিল মেইল গাড়ি। আমার সামনের চুল সবসময় দাঁড়িয়ে থাকত বলেও এই নামে অনেকে ডাকত আমাকে।”
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নানা কথা তুলে ধরেন শাহরুখ। “আমি স্কুলের শিক্ষকদের খুব বিরক্ত করতাম। একবার রসায়নের শিক্ষককে বাধ্য করেছিলাম যাতে উনি পরীক্ষায় আমাকে পুরো নম্বর দেন! আসলে আমি ওনাকে এটাই বলেছিলাম যে আমি তাঁর সন্তানের মতো!”, জানান শাহরুখ। পাশাপাশি শাহরুখ যে স্কুলে মৃগী রোগীর অভিনয় করতেন, তাও বলেন তিনি। “আমি অজ্ঞান হয়ে যেতাম, আর আমাকে জুতোর গন্ধ শোঁকানো হত। একবার এক নতুন শিক্ষক আসেন স্কুলে, আর আমি অজ্ঞান হওয়ার অভিনয় করি। আমার বাকি সহপাঠীরা ওনাকে পথ বাতলে দিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই সারাদিন খালি পায়ে ঘুরতে বাধ্য হয়েছিলেন ওই শিক্ষক”, হাসতে হাসতে জানান কিং খান!