করোনা ভাইরাসে (Corona Virus) আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই যেন নতুন রেকর্ড তৈরী করছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জর্জরিত গোটা দেশ। চিকিৎসা পেতে নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। ইতিমধ্যেই রাজ্যে লকডাউন চলছে। সংক্রমণ কমাতে যেন প্রশাসন তৎপর হয়েছে তেমনই তৎপর হতে হবে আমাদেরকেও। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার থাকাটা অনেক বেশি জরুরী। আর ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়াতে ডাক্তারের বলছেন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে।
যারা মৃদু করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন বা করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশন রয়েছেন তাদেরদেও ডাক্তাররা প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন নেবার জন্য বলছেন। এবার অনেকে ভাবতেই পারেন প্রোটিন (Protein) মানেই মাছ মাংস ভালোমন্দ খাওয়া দাওয়া। কিন্তু আসলে কিন্তু মাছ মাংস ছাড়াও অনেক ফল, শাক-সবজিতে প্রোটিন থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। আজ আপনাদের সেই সমস্ত ফলের সন্মন্ধেই জানাবো।
পিয়ারা
পিয়ারা ফোল্ডার সাথে প্রায় সকলেই পরিচিত ছোট থেকে বড় সকলেই পিয়ানো নিশ্চয়ই খেয়েছেন। অনেকের মতে পেয়ারা খেলে পেট ভালো থাকবে কারণ এতে অ্যাসট্রিনজেন্ট ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল গুণ রয়েছে। এছাড়াও পেয়ারার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় যেটা ব্যাকটেরিয়ার সাথে যুদ্ধে শরীরকে অনেকটা সাহায্য করে। তবে শুধু যে ভিটামিন সি হয়েছে তা কিন্তু নয়, প্রোটিন রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। জানা যায় ১০০ গ্রাম পেয়ারার মধ্যে প্রায় ২.৫ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে।
খেজুর
চাটনি হোক বা শুধু শুধু অনেকেই খেজুর খেয়ে থাকেন। বাজারে খুব সহজেই কিনতে পাওয়া যায় এই খেজুর। খেজুরের মধ্যে ভিটামিন এ বি প্রোটিন ফাইবার আয়রন ম্যাগনেসিয়াম এর মত উপাদান রয়েছে। যে কারণে খেজুর শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাছাড়া মিষ্টি স্বাদের এই ড্রাই ফ্রুটস চাঁদনী তো বিশাল পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। জানা যায় মাত্র দুই থেকে তিনটি খেজুর খেলে অন্ততপক্ষে এক গ্রাম প্রোটিন পাওয়া সম্ভব।
কিসমিস
জন্মদিন থেকে শুরু করে শুভকাজে খাবারের পাতে শেষের দিকে পায়েস থাকে। আর বয়সের মধ্যে কিসমিস থাকবে না তাও আবার হয় নাকি! তবে 5 এর মধ্যে ছাড়াও শুধু মুখেও কিসমিস কিন্তু খেতে দারুন লাগে। মূলত আঙ্গুর শুকিয়ে তৈরি করা হয় কিসমিস। আর কিশমিশের ১০০ গ্রামের মধ্যে তিন গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন থাকে। শরীরে প্রোটিনের উৎস হিসাবে কিসমিস খাওয়া যেতেই পারে।
আলুবোখরা
টক মিষ্টি চাটনি খেতে গেলে সবার আগে যেটা মাথায় আছে সেটা হল আলুবোখারার চাটনি। তবে চার দিনের মধ্যেই না দিয়ে যদি আলুবোখরা শুকনো খাওয়া যায় তাহলে কিন্তু তার ভালো পুষ্টিগুণ রয়েছে। ১০০ গ্রাম আলুবোখরার মধ্যে প্রায় ১০০ গ্রাম পেয়ারার মতনই ২ গ্রামের ও বেশি প্রোটিন থাকে।