টলিউড ( Tollywood) তথা টেলিভিশনের অভিনেতাদের মধ্যে একজন বিখ্যাত অভিনেতা হলেন টোটা রায়চৌধুরী (Tota Roychowdhury)। দীর্ঘদিন ধরেই অভিনয় জগতের সাথে যুক্ত রয়েছেন টোটা। তবে বরাবরই স্পষ্ট কথা স্পষ্টভাবে বলতে ভালবাসেন অভিনেতা। যেমন শান্তশিষ্ট স্বভাব তেমনি কথাবার্তার ক্ষেত্রেও বেশ পরিমার্জিত চরিত্র রয়েছে অভিনেতার।
টলিউডের একাধিক ছবিতে অভিনয় করে দর্শকদের ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন অভিনেতা। ফেলুদার চরিত্র টোটার দুর্দান্ত অভিনয় একসময় দারুণ প্রশংসিত হয়েছিল দর্শক তথা চলচ্চিত্র সমালোচকদের মধ্যে।অভিনেতা কে বর্তমানে শ্রীময়ী সিরিয়ালের রোহিত সেনের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। আজ একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে বলিউড থেকে টলিউড সর্বত্রই অভিনয় জগতে স্বজনপোষণের মত অভিযোগ উঠেছে। এবার এই স্বজনপোষণ ও ও অভিনয় জগতের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে মুখ খুললেন টোটা রায়চৌধুরী।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একেবারে ভেদো বাংলাতেই নিজের বক্তব্য রেখেছেন। তার মতে বাংলা ছবির জগতে নেপোটিজম অর্থাৎ স্বজনপোষণ নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই রীতি চলে আসছে টলিউডে। এমন বহু প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রীরা রয়েছেন যারা প্রতিবাদ থাকা সত্ত্বেও সুযোগ পাননি। এমনকি ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য ভীষণ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছি এই ধরনের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের।
শুধুই যে সোনা কথা তা কিন্তু নয় অভিনেতা নিজের স্মৃতি থেকেও বললেন এক এক সময় এমনও হয়েছে যে সমস্ত কথাবার্তা ফাইনাল হওয়ার পরেও শেষ মুহূর্তে কোন এক ছবিতে অভিনয়ের থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। যেটা তার কাছে খারাপ লাগা তো বটেই সাথে যথেষ্ট হতাশাজনকও। ছবিতে তার বদলে অন্য কোন এক অভিনেতা কি নেওয়া হয়েছে, তাসি স্বজনপোষণ ই হোক বা একান্ত নায়িকার পছন্দ-অপছন্দের ব্যাপারেই হোক।
এরপর অভিনেতা বলেন, ‘ ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালিত চোখের বালি ছবি অভিনয় করেছিলাম। অভিনয়ের জন্য প্রশংসা পেয়েছিলাম স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন নাসিরুদ্দিন শাহ এর মত অভিনেতাদের থেকে। অথচ সেই ছবির শেষ হওয়ার পরে আমার সহ অভিনেতা অভিনেত্রীরা একের পর এক ছবির অফার পেলেও আমি কিন্তু পাইনি। চোখের বালির পর প্রায় ছয় মাস কাজ ছাড়াই বাড়িতে বসে থাকতে হয়েছিল। যার কারণ হয়তো ছবির পোস্টারে আমার ছবিটাই না থাকা। পরে জানতে পারি ছবির বাকি নায়ক এর নির্দেশ মেনেই এই কাজ করা হয়েছিল।
টোটা রায়চৌধুরীর মতে কোন অভিনেতা বা অভিনেত্রী কেই যেকোনো একটি মাধ্যমে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। আজ অনেক ধরনের বিনোদনের মাধ্যম রয়েছে সেটা ছবি হতে পারে বা সিরিয়াল বা ওটিপি প্ল্যাটফর্ম। এছাড়াও ভাষার গণ্ডিই পেরোতে হবে অভিনেতা নিজেও টলিউডের বাইরে বলিউড এমনকি সাউথ ইন্ডিয়ান ছবিতেও কাজ করেছেন। সেই কারণেই হয়তো নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এই পরামর্শ দিয়েছেন বাকি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্য।