স্টারজলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল হল খড়কুটো (Khorkuto)। শুরুর দিকে সর্বাধিক জনপ্রিয় থাকলেও বর্তমানে দৌড়ে খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে সিরিয়ালটি। সিরিয়ালের গুনগুন আর সৌজন্যকে নিয়েই মূল গল্প। গুনগুনের পাগলামির সাথে সৌজন্যের গম্ভীরভাব সাথে গোটা পরিবারের হৈ হুল্লোড় এই নিয়েই দিব্যি দর্শকদের মন জয় করছিলো খড়কুটো। কিন্তু বর্তমানে কেমন যেন জটিল হয়ে পড়ছে সিরিয়ালের চিত্রনাট্য।
সিরিয়ালে আগের মত সেই হৈ হুল্লোড় আর নেই। নতুন এক সদস্যের আগমন ঘটেছে মুখার্জী পরিবারে। পটকা বাদে বাড়ির কেউই তাকে চেনে না। এদিকে ছেলেটি আবার মুসলমান, যদিও সেসব নিয়ে কারোর মাথা ব্যাথা নেই। সন্দেহের কারণ হল পটকার সাথে নাকি আদিলের রক্তের সম্পর্ক রয়েছে। অথচ আদিলকে এর আগে বাড়ির কেউই কখনো দেখেনি। তাহলে এতো গভীর সম্পর্কটা কিসের?
এই রহস্য উৎঘাটনে নেবে আসল ব্যাপার জানতে পেরেছে গুনগুন। কিন্তু পটকার অনুরোধে সত্যিটা এখনই সকলের সামনে না আনার কথায় রাজি হয় সে। ইতিমধ্যেই আদিলের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপন হয়েছে গুনগুনের। যেটা সৌজন্যের চোখে একেবারেই ভালো নয়। সামনেই গুনাগুনের পরীক্ষা অথচ আদিলের সাথে বিরিয়ানি বানিয়েছে গুনগুন।
সেই বিরিয়ানি যখন বাড়ির সকলকে খাওয়ানো হচ্ছে তখনি সৌজন্যকে গুনগুন বিরিয়ানি খাওয়াতে গেলেই বাধে বিপত্তি। বলতে গেলে রেগে লাল হয়ে ক্ষোভে ফেটে পরে সৌজন্য। গুনগুনকে বলে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে, কারণ ফেল করার থেকে পড়াশোনা না করাই বেশি ভালো বলে সে মনে করে। আসলে পড়াশোনা নিয়ে কোনরখম আপোষ করতে নারাজ সৌজন্য তাই গুনগুনের পড়াশোনার প্রতি অবহেলা ঠিক সহ্য করতে পারছে না সৌজন্য। তাছাড়া আদিলের সাথে গুনাগুনের মেলামেশাটাকেও ঠিক চোখে দেখছে না সে।
View this post on Instagram
সম্প্রতি সিরিয়ালের একটি দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে, গুনগুনের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে। সৌজন্য তাকে পড়াশোনা নিয়ে অপমান করতে চাইলে প্রতিবাদ জানিয়েছে গুনগুন। সকলের সামনে অপমানিত হবার পর সৌজন্যকে গুনগুন বলেছে, ‘আমার বাবাকে দেওয়া কথা আমি রাখবোই। ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে পাশ করে তোমাকে ছেড়ে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো আমি। এটা আমার চ্যালেঞ্জ’। কথাগুলো বলতে গিয়ে গুনগুনের চোখে জল পর্যন্ত এসে গিয়েছিল।