অন্যান্য তারকাদের মতোন সোশ্যাল মিডিয়ায় একেবারেই সক্রিয় নন টলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা দেব (Dev) ওরফে দীপক অধিকারী (Dipak Adhikary)। সারাক্ষণই নানান কাজে ব্যস্ত থাকেন অভিনেতা। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একাধারে প্রযোজক, নেতা এবং সমাজসেবীও বটে। তাকে বাংলার সোনু সুদ বললেও ভুল বলা হয়না।
করোনা কালে যখন দীর্ঘদিনের লকডাউনে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ তখন নেপাল থেকে নিজের চেষ্টায় ২৫০ জন পরিযায়ী শ্রমিককে ঘরে ফিরিয়েছিলেন বাংলার ‘খোকাবাবু’। তার আগেও দুই অন্তঃসত্ত্বা সহ ৩৬ জন পরিযায়ী শ্রমিককে ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন অভিনেতা সাংসদ দেব।এই সময়ে দাঁড়িয়েও রাজনীতি, অভিনয়, এবং নিজের সমস্ত দায়িত্ব একা হাতেই সামলে যাচ্ছেন অভিনেতা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকেও একের পর এক মানবিক পদক্ষেপ নিয়ে মানুষের পাশে থেকেছেন অভিনেতা৷ এবারের পরিস্থিতি গতবারের চেয়েও বেশি ভয়াবহ। রোজই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। মৃত্যুমিছিল এতই লম্বা যে মরদেহ সৎকার করার ও জায়গা মিলছেনা।
এহেন পরিস্থিতিতে, স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়াতে নিজের লোকসভা কেন্দ্র ঘাটালের লোকালয় থেকে দূরে শ্মশান তৈরি করার কাজ শুরু করলেন দেব। কোভিড বিধি মেনেই এখানে সৎকার করতে পারবেন স্বজনহারারা। আর প্রিয়মানুষের মৃতদেহ এবার এদিক ওদিক পড়ে থাকতে দেখতে হবেনা।
ঘাটালের বেশিরভাগ শ্মশান লোকালয়ের মধ্যে। তাই কোভিডের (COVID-19) ফলে মৃতদের দেহ সৎকারে অসুবিধা হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল অনেকের। এই কথা শোনা মাত্রেই লোকালয়ের থেকে দূরে কোনো স্থানে কোভিড আক্রান্তদের শ্মশান বানানোর উদ্যোগ নিলেন দেব, তার মাথায় ইতিমধ্যেই হাত রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।