খড়কুটো (Khorkuto) সিরিয়াল ইতিমধ্যেই বাঙালি দর্শকদের মধ্যে নিজের একটা আলাদা জায়গা তৈরী করে ফেলেছে। সিরিয়ালের গুনগুন আর সৌজন্যের চরিত্র দর্শকদের খুবই মনে ধরেছে। সত্যি বলতে কি এই দুই বিপরীত স্বভাবের চরিত্রের প্রেম দেখার জন্যই সন্ধ্যা নামলে সকলে হাজির হন টিভির সামনে। কিন্তু দিনে দিনে কেমন যেন প্যাচাল হয়ে যাচ্ছে সিরিয়ালের প্রেক্ষাপট। যার জেরে টিআরপিও নেমেছে আগের থেকে অনেকটাই। যেখানে আগে প্রথম স্থানের জন্য চলত লড়াই সেখানে বর্তমানে চতুর্থ কি পঞ্চম হতে হয়।
আসলে গুনগুন সৌজন্যের দুস্টু মিষ্টি প্রেমকাহিনীর মধ্যে কোথাও যেন ছেদ পড়েছে গল্পে। কিছুদিন আগে ভজনবাবুর টাকা ধার করা নিয়ে বেশ কিছু পর্ব কেটেছে। প্রথমে এমনভাবে দেখানো হয়েছিল যেন কি না কি করে বসেছেন ভজনবাবু, অথচ শেষে জানা যায় গানের জন্য লক্ষাধিক টাকা ধার করেছিলেন তিনি। এই ঘটনায় পরিবারের সকলের মুখের হাসিখুশি ভাবটাই গায়েব হয়ে গিয়েছিল।
এইসব যখন মিটল তখনই আরেক রহস্যের সূত্রপাত হল। এবার পটকা এক মুসলিম ছেলে আদিলকে নিয়ে হাজির হল বাড়িতে। আদিলের সাথে নাকি পটকার রক্তের টান রয়েছে, অথচ এর আগে পরিবারের কেউই আদিলকে বাড়িতে দেখেননি। এরপর থেকেই বাড়িরই সকলের মনে সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে। যদিও পটকা ম্যানেজ দেবার চেষ্টা চালাচ্ছে অনেক তবে বেশি দিন মেকআপ দেওয়া যাবে বলে মনে হয় না।
এখানেই দরকার পড়েছে আরেক নতুন চরিত্রের। অর্থাৎ যেমনটা জানা যাচ্ছে আদিলের সাথে পটকার রক্তের সম্পর্ক মেলাতে মুখার্জী পরিবারে আসতে চলেছে আরেক নতুন সদস্য। কে এই নতুন সদস্য? মনে করা হচ্ছে আদিলের তাবিজে যে নাম ছিল সেটাই হয়তো নতুন চরিত্রের নাম হতে পারে। আদিলের তাবিজে মুনিয়া নামটি খোদাই করা ছিল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কে এই মুনিয়া? এর আগেও পুটুপিসির বিয়ের সময় একবার মুনিয়া নাম শোনা গিয়েছিলো পরিবারের লোকেদের মুখে।
যেমনটা জানা যাচ্ছে মুনিয়া হয়তো বাড়ির এক মেয়ে। এবার সেই মেয়েই বাড়ি ফিরতে চলেছে। আর মুনিয়ার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে অভিনেত্রী বিদীপ্তা চক্রবর্তীকে। কিন্তু মুশকিল হল লকডাউনের জেরে ইতিমধ্যেই সমস্ত সিরিয়াল তথা সিনেমার শুটিং স্থগিত রাখা হয়েছে। এবার এটাই দেখার যে কবে আগমন হতে চলেছে সিরিয়ালে বিদীপ্তার।