পদবীই বলে দিচ্ছে খাঁটি হিন্দু ব্রাহ্মণ অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাতে তো কারোর পরিচয় ‘হিন্দু’ হয়ে যায়না, এমনটাই মনে করেন ভাস্বর। তার কাছে হিন্দু মুসলিমের উর্ধ্বে ‘মানুষ’ হয়ে ওঠা আগে। আর এই ভাবনা থেকেই রমজান মাসে রোজা রেখেছিলেন অভিনেতা ভাস্বর চ্যাটার্জি। ২৯ দিন রাখতে না পারলেও সমস্ত নিয়ম মেনে কাছের বন্ধুর জন্য ৫দিন রোজা রেখেছিলেন অভিনেতা।
কেন হঠাৎ হিন্দু হয়ে রোজা রাখছেন ভাস্বর? এর উত্তরে অভিনেতা জানিয়েছিলেন “হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের জন্যই এই কাজ করছেন তিনি, তিনি মন থেকে চান হিন্দু মুসলিম এক হোক”। এছাড়াও অভিনেতার যুক্তি, তাদের ইন্ডাস্ট্রিতে অসংখ্য মুসলিম মেকআপ আর্টিস্ট এবং ড্রেসার আছেন, যারা এই রোজা রেখে দীর্ঘ এক মাস কাজ করে যান। তাদের প্রতি ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং সম্মান জ্ঞাপন করতেই অভিনেতার এই পদক্ষেপ।
ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় আরও জানান তার এই প্রথম রোজা তিনি উৎসর্গ করেছেন কাশ্মীরিদের। প্রসঙ্গত, অনেকদিন ধরেই কাশ্মীরি ভাষা শিখছেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। ভাস্বরের অত্যন্ত কাছের বন্ধু মুসাদ্দিক আহমেদ খান। কাশ্মীরি হলেও কলকাতাতেই তার বাস। রমজান শেষে তার থেকেই দাওয়াত পেলেন ভাস্বর, তার বাড়িতেই সারলেন ইফতার। বন্ধু তাকে খুশির ঈদে উপহার দিয়েছেন কুর্তা পাজামার সেট এবং আতর, ভাস্বর-ও তাকে দিয়েছেন একটি কুর্তা।
এই প্রসঙ্গে ভাস্বর জানান, “বিরিয়ানি, গোরুর মাংস, ফিরনি, সিমুই তো থাকবেই। আর কী কী বিশেষ পদ থাকবে সেটা গিয়ে জানতে পারব। আমার রোজা রাখার খবর নেটমাধ্যমে শেয়ার করতেই সবাই রে রে করে উঠেছিলেন। বলেছিলেন, এ বার ভাস্বর গোরুর মাংস-ও খাবেন! তাঁদের জানাই, আমি আমার মতো খাওয়াদাওয়া করব। এবং সেখানে গো-মাংস থাকবে না। আরও একটা কাজ করব। আমার বাড়ির দুর্গাপুজোয় মুসাদ্দিককে সপরিবারে নিমন্ত্রণ করে আসব। আজ, ঈদের দিনে।”