আমাদের সমাজে বিয়ে (Marriage) মানে হল উৎসবের সমান। বেশ কিছুদিন ধরে নানান রীতিনীতি আর অনেক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হয় বিয়ের। সাজানো প্যান্ডেল কতশত লোকের আগমন হয় বিয়ের অনুষ্ঠানে। তবে সম্প্রতি করোনাকালে বিয়ের অনুষ্ঠানে নানান নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। মহামারীর ছড়ানো রোধের জন্য ৫০ জনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই নিয়ম মেনেই চলছে বিয়ের অনুষ্ঠান। যদিও কিছু কিছু জায়গায় এই নিয়ম উলঙ্ঘনের ক্ষমার মিলেছে। তবে সম্প্রতি এমন একটি খবর পাওয়া গিয়েছে যা শুনে হয়তো চমকে উঠবেন আপনিও।
উত্তরপ্রদেশ থেকে বিয়ের দিনেই একটি বিয়ে ভাঙার খবর আসছে। আনার হয়তো ভাববেন এ আর নতুন কি! হামেশাই বিয়ে ভাঙার খবর আসে। কখনো বিয়ের সময় মেয়ে পালায় তো কখনো আবার বিয়ের আগে বেঁকে বসে পাত্র। কিন্তু এক্ষেত্রে বিয়ে ভাঙার কারণ শুনলে হাসবেন নাকি অবাক হবে সেটাই ভাবে পাবেন না হয়তো আপনি।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মাহোবা জেলায় এক বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের ঠিক আগেই বিয়ের কণে নিজেই বিয়ে ভেঙে দেয়। কারণ বিয়ের আগে বারাত নিতে বর আসার পর তাকে কিছু প্রশ্ন করে বিয়ের কণে যার কোনো উত্তর দিতে পারেনি বরমশাই। সেই কারণেই বিয়ে ভেঙে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাত্রী। এখন নিশ্চই প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে যে কি প্রশ্ন করেছিল পাত্রী। তাহলে বলি, দুইয়ের ঘরের নামতা বলতে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল পাত্রকে।
হবু বউয়ের মুখে এমন প্রশ্ন শুনে একেবারেই চমকে গিয়েছিল পাত্র। তবে এই প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেনি সে। আর সেই কারণেই এমন এক পাত্রকে বিয়ে করতে নারাজ পাত্রী। পরিবারের লোকেরা হাজার বোঝানোর চেষ্টা করলেও বিয়ের জন্য কোনোমতেই রাজি নয় সে। যে ছেলে দুইয়ের ঘরের নামটা বলতে পারে না তার সাথে বিয়ে করে সারা জীবন কাটানো অসম্ভব তার পক্ষে।
এরপর বিয়ের মণ্ডপেই শুরু হয় তুমুল বচসা। শেষমেষ পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ এসে উপস্থিত হয় বিয়ের মণ্ডপে। পাত্রীপক্ষ তাদের বিয়ের আয়োজনের জন্য খরচ হওয়া টাকা ফেরত দেবার দাবি করে। বেশ কিছুক্ষন ঝামেলা চলার পর সিদ্ধান্ত হয় বিয়ের সমস্ত উপহার ও গয়না সমানভাবে ভাগগভাগি করা হবে। এরপর পাত্র ও পাত্রী উভয়পক্ষের সামনেই বিয়ের গয়না আর প্রাপ্ত উপহার ভাগ বাটোয়ারা করা হয়। তবে যেমনটা জানা যাচ্ছে কোনো পুলিশি অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।