গোটা দেশ ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে জর্জরিত। চারিদিকে হাহাকার পরে গিয়েছে হাসপাতাল বেড, থেকে শুরু করে, অক্সিজেনের। এখনো পর্যন্ত পুরোদমে শুরু করতে পৰ যায়নি ভ্যাকসিন পর্ব। এবার এরই মাঝে খারাপ খবর জানাল আবহাওয়া দফতর। বাংলার বুকে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘তাউকটে’ (tauktae)।
গতবছর এমন সময়েই বাংলার উপর আছড়ে পড়েছিল বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় (cyclone) আম্ফান। গোটা বঙ্গের শারীরিক গাছপালা, ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই ভেঙে তছনছ হয়ে গিয়েছিল আম্ফানের দাপটে। ঘরবাড়ি ছাড়া হতে হয়েছিল অসংখ্য মানুষকে। এমনকি রাজ্যের বিদ্যুৎ বন্টন ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ব্যাপকভাবে। ১৫-২০ দিন সময় লেগেছিল রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষেবা ঠিক হতে। তারপরেও দীর্ঘ দিন ধরে চলছিল কাজ। সেই স্মৃতি উস্কে আবারও ফিরছে নতুন ও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘তাউকটে’।
আবহাওয়া দফতর (weather office) তরফ থেকে যেমনটা জানা যাচ্ছে, আমফানের মতই ক্ষতিসাধন করতে সক্ষম তাউকটে। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, বর্তমানে মাঝ সমুদ্রে শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় তাউকটে। আর শক্তি বাড়িয়েই হয়তো আছড়ে পড়বে বাংলার উপকূলীয় অঞ্চলে কয়েকদিনের মধ্যেই।
এছাড়াও জানা যাচ্ছে, আগামী ১৪ই মে শুক্রবার সকাল থেকেই দক্ষিণপূর্ব আরব সাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে লাক্ষাদ্বীপ সংলগ্ন উপকূলবর্তী এলাকায়। এদিকে মুশকিল হল এই ঝড়ের গতিবেগ ঠিক কতটা তীব্র হতে পারে তা সম্পর্কে এখনো কোনো সঠিক ধারণাই করে উঠতে পারা যাচ্ছে না। তবে, যেমনটা বলা হচ্ছে প্রায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসবে এই ঘূর্ণিঝড়। আবার ১৬ই মে সেই গতি বেড়ে গিয়ে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্তও হতে পারে।
বছরের বর্ষার মরশুমের প্রথম এই ঘূর্ণিঝড় আরব সাগরে তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে দক্ষিণ-পশ্চিমের দিকেও এই ঘূর্ণিঝড় বাঁক নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সমুদ্রের মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। তারা যাতে সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য না যান সেব্যাপারে তাদের আগাম সূচনা দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি যারা মাঝ সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদেরকেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে আসার আদেশ দেওয়া হয়েছে।