যত দিন এগোচ্ছে ততই মানুষের বিনোদনেও পরিবর্তন আসছে। একসময় মানুষ যে স্বর্ণের ছবি দেখতে পছন্দ করতো এখন সেটা হয়তো ঐক্যবন্দ করে না। একসময় নতুন ছবি রিলিজ হলে সিনেমা হলের বাইরে লম্বা লাইন পড়ে যেত। কিন্তু স্মার্টফোন আসার পর থেকেই সেই প্রবণতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এঁটে নয় যে সিনেমা হলের জনপ্রিয়তা কমে গেছে। তবে প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে স্মার্টফোনেই হাজির হয়েছে সিনেমা হল। এমনকি দুর্দান্ত সমস্ত ওয়েব সিরিজ (Web Series) আসতে শুরু করেছে। যা সিনেমার মতনই সমান জনপ্রিয়।
এই সমস্ত ওয়েব সিরিজগুলো অনলাইন প্লাটফর্মে (OTT Platform) রিলিজ হয় যা সিনেমাহলের থেকে একেবারেই আলাদা একটা ফিলিংস দেয়। তাছাড়া সিনেমার গল্পের থেকেও আরো বেশি রোমাঞ্চকর গল্পের সম্ভার নিয়ে হাজির হয় এই ওয়েব সিরিজ। বলিউড টলিউডের অভিনেতা অভিনেত্রীরা তো বটেই কনেকে নতুন প্রতিভাবানদেরও দেখা মিলছে এই নতুন প্লাটফর্মে। এই যেমন বলিউডের বিখ্যাত কমেডি অভিনেতা শ্রেয়াস তালপান্ডে (Shreyas Talpande)। তিনিও ওয়েব সিরিজে অভিনয় শুরু করেছেন।
অমিতাভ বর্মার একটি নতুন ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে অভিনেতাকে। ওয়েব সিরিজের নাম ‘তিন দো পাঁচ’। আর পাঁচটা গল্পের থেকে একেবারেই আলাদা এই ওয়েব সিরিজের গল্পটি। রোমান্স অ্যাকশন নয় বরং এক অদ্ভুত ফ্যামিলি সিচুয়েশনের কাহিনী দেখানো হয়েছে এই গল্পে। অভিনেতা শ্রেয়াসের বিপরীতে দেখা যাবে অভিনেত্রী বিদিতা বাগকে (Bidita Bag)। জানিয়ে রাখি অভিনেত্রী বিদিতা আদতে কিন্তু বাঙালি। গল্পের মূল প্লট হল সন্তান দত্তক নিয়ে।
সাধারণত যাদের সন্তান হয় না তারা নিজেদের সন্তান পাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য দত্তক নেন। কিন্তু গল্পের এই দম্পতি দত্তক নিচ্ছেন ঠিকই তবে এক বা দুটি নয় বরং একত্রে তিনটি সন্তান দত্তক নিচ্ছেন তাঁরা। আর সেই সন্তানদের নিয়েই জীবনের হাল বেহাল হয়ে গিয়েছে। পরিচালকের মতে এই গল্পের সাথে অনেকেই নিজেদের জীবনের মিল খুঁজে পাবেন। যাতে গল্পটি বাস্তবসম্মত লাগে তার যথেষ্ট চেষ্টা করা হয়েছে।
জানা যায় মাত্র ২৫ দিনের মধ্যেই গোটা ওয়েব সিরিজটির শুটিং কমপ্লিট হয়েছে। প্রতিদিন ১২ ঘন্টা বা তারও বেশি সময় ধরে শুটিং চলত। তবে শ্রেয়াস ও বিদিতা দুজনেই দারুন কাজ করেছেন। এখন অপেক্ষা শুধু ওয়েব সিরিজটি লঞ্চ হবার। নতুন এই ওয়েব সিরিজটি হটস্টারে রিলিজ হতে চলেছে।