‘মোদের গর্ব মোদের আশা আমরি বাংলা ভাষা’। সত্যি বাঙালি হিসাবে গর্বিত প্রতিটি বাঙালি কারণ বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Thakur) নিজেও ছিলেন একজন বাঙালি। আর তার লেখায় শুধু বাঙালি নয় বরং গোটা বিশ্বের কাছে সমানভাবে সমাদৃত রবি ঠাকুরের লেখা। রবি ঠাকুরের লেখা অসংখ্য কবিতা, গান যেন বাঙালিদের সাথে একেবারে একাত্ম হয়ে মিশে গিয়েছে। রবি ঠাকুরের গান গুলি মূলত রবীন্দ্রসংগীত (Rabindrasangeet) নামেই পরিচিত।
সামনেই আসছে ২৫শে বৈশাখ, রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন। এই দিনটি বাঙালিদের কাছে কোনো উৎসবের থেকে কম নয়। ২৫শে বৈশাখ গোটা পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারত এমনকি বিদেশেও বহু জায়গায় নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হয়। তবে বর্তমানে করোনা মহামারীর কারণে যে পরিস্থিতি তাতে এবছর কোনোরকম সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে না।
কিন্তু শুধু মাত্র অনুষ্ঠান হচ্ছে না বলেই যে রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করা যাবে না তা কিন্তু একেবারেই না। বর্তমানে পরিস্থিতিতে অনেকেই হাল দিচ্ছেন ভাবছেন হয়তো সব শেষ হয়ে যাবে। আসলে কিন্তু তা নয় গভীর রাত্রির পরেই যেমন সূর্য ওঠে আর চারিদিক আলোয় ভরিয়ে তোলে ঠিক তেমনি, এই মহামারী কেটে যাবে। আর এমন পরিস্থিতিতে মনে সাহস জোগাতে রবি ঠাকুরের কিছু গান দারুন সাহস যোগায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই সমস্ত গানগুলি।
- যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে
অতিপরিচিত একটি বাংলা গান ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে’। গানের মধ্যে দিয়ে রবি ঠাকুর বলে গেছেন যে পথ কঠিন হলে কাউকে হয়তো পাশে নাও পাওয়া যেতে পারে তাবলে হেরে যেতে নেই।
- সঙ্কোচের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান সঙ্কটের কল্পনাতে হোয়ো না ম্রিয়মাণ
https://youtu.be/ytOTD9g_56Y
- এবার তোর মোর গাঙে বন্ এসেছে, ‘জয় মা’ বলে ভাসা তরী
বিখ্যাত সংগীতশিল্পী শ্রীকান্ত আচার্যের গলায় রবীন্দ্রনাথের লেখা গান। যেটা মনের সাহস জোগাতে সাহায্য করে বারবার।
- আলোকের এই ঝর্ণা ধারায় ধুইয়ে দাও
আঁধার কেটে ঠিক উদয় হবে প্রভাতের সূর্য। ঘুচে যাবে সমস্ত দুঃখ কষ্ট, সেই কথা মাথায় রেখেই এই গানের রচনা।
- আমি ভয় করবো না ভয় করবো না
মন থেকে ভয়কে মুছে দিয়ে জয়ী হওয়ায় উদ্বুদ্ধ করে এই গান।