যত দিন যাচ্ছে ততই যেন পৃথিবীতে বাড়ছে রজার সংখ্যা। আজকাল হাজারো রোগের মধ্যে একটি ক্ষতিকারক রোগ হল ব্লাড সুগার (Blood Sugar)। রক্তে গুকোজের মাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে পড়ার কারণেই এই রোগ হয়। ব্লাড সুগারের কারণে ডায়াবেটিসের (Diabetes) মত ক্ষতিকারক রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। এই রোগের চিকিৎসা ঠিক মত না হলে শরীরের অঙ্গপ্রতঙ্গ বিকল পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। অনেকেই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রনের জন্য ইন্সুলিন পর্যন্ত নেন।
কাজেই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখাটা খুবই প্রয়োজন। চিকিৎসকদের মতে ব্লাড সুগার কন্ট্রোলে রাখতে হলে নির্দিষ্ট ডায়েট ফলো করলেও নিয়ন্ত্রণে রাখ সম্ভব রক্তের ব্লাড সুগারের মাত্রা। শুধু তাই নয়, ডায়েটে কিছু খাবার যুক্ত করলে আরো উৎফুল্ল্য ভাবে কাটাতে পারবেন জীবন। আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই সমস্ত খাবারের তালিকা যা আপনার ডায়েট ছাড়তে থাকলে কাবু হবে ব্লাড সুগার।
১. ব্রোকোলি (Broccoli)
ব্রোকোলি হল ফুলকপির মত দেখতে একটি সবজি। তবে সাধারণ ফুলকপির তুলনায় অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর এই ব্রোকোলি। ব্রোকোলি খেলে শরীরে সালফোরাফেন (Sulforaphane) ক্ষরণ হয়, যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
২. ওটস (Oats):
ওটস হল এমন একটি খাদ্য যাতে প্রচুর পরামণে ফাইবার থাকে। ফলে এটি হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এই ওটস এর গ্লাইসেমিক রেট মাত্র ৫৫ যা ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রাখতে সাজাহয় করে।
৩. শস্য দানা/বীজ (Seeds):
খাবারের মধ্যে যদি থাকে কোনো বীজ জাতীয় খাবার যেমন কুমড়ো দানা, তাহলে তা ব্লাড সুগারে উপকারী। কারণ এই বীজ জাতীয় খাবারে থাকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস ও ফাইবার যা হজম শক্তিকে ভালো রাখে ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৪. ডাল জাতীয় দানা শস্য (Legumes)
ডাল জানিয়ে শস্য যেমন মুসুর ডাল ও দানা জাতীয় শস্য যেমন সয়াবিনের গ্লাইসেমিক রেট অনেক কম হয়। এই খাবারগুলি সমস্ত রকমের খাবারের সাথেই খাওয়া যায় ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে দারুন সহায়তা করে।