দীর্ঘ ৭০ বছর জল অন্ন স্পর্শ না করে বেঁচে থাকা যায়, এমনটাই দাবী করতেন যোগী প্রহ্লাদ জানী। অবশেষে ৯০ বছর বয়সে গ্রাম চারাদায় মৃত্যু হয় যোগী প্রহ্লাদ জানী ওরফে চুনরিওয়ালা মাতাজির। মৃত্যু সংবাদ প্রকাশ্যে আসতেই ইতিমধ্যেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর ভক্তকূলে।
কোনোও খাবার জল ছাড়া স্রেফ নিয়মিত যোগাসনেই নাকি বেঁচে ছিলেন যোগী প্রহ্লাদ জানী। তিনি যোগাসনের সাথে সাথে নাকি বায়ুসাধনাও করতেন, অর্থাৎ জল অন্ন না খেলেও হাওয়া খেয়েই নাকি ৯০ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি দাবী করতেন মা অম্বার কৃপাই নাকি তার অন্যতম প্রধান জীবনীশক্তি।
সমগ্র গুজরাট রাজ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা ছিল যোগী প্রহ্লাদ জানীর। তার এই অসম্ভব সাধনার কারণে এর আগেও অনেক বার খবরে এসেছেন তিনি। অবশেষে, ৯০ বছর বয়সে নিজ গ্রামেই দেহ রাখেন যোগী প্রহ্লাদ। যোগী জানীর মরদেহ গুজরাটের বনাসকণ্ঠ জেলার আমবাজি মন্দিরের নিকটে অবস্থিত তাঁর আশ্রম-গুহায় রাখা হয়েছিল।
মা অম্বার একনিষ্ঠ শিষ্য প্রহ্লাদ জানী ওরফে চুনরিওয়ালা মাতাজীর সাজপোশাক ও ছিল বেশ স্বকীয় এবং আলাদা। পরনে লাল কাপড়। কপালে লাল টিপ।এক মুখ দাড়িগোঁফ। এমনকি ভারী গয়নাও পরতে দেখা যেত তাকে। শোনা যায়, সর্বক্ষণ ওড়না অর্থাৎ চুনরি ব্যাবহার করতেন বলে তিনি চুনরিওয়ালা মাতাজী নামেও পরিচিত ছিলেন।
তাঁর এই দাবীকে কার্যত অসম্ভব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আমেরিকার হেনরিফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক পারিজাত সেন এটিকে ‘ভাঁওতাবাজি’ বলেই অভিহিত করেন। বেশিরভাগ বিজ্ঞানীদের কথাতেই এর কোনোও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি পাওয়া যায়নি।