বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতকে (Madhuri Dixit) সকলেই চেনেন। বলিউডের ড্রিম গার্লও বলা হয় অভিনেত্রীকে। নব্বইয়ের দশকে একেরপর এক হিট ছবিতে বক্স অফিস ঝড় তুলেছিল মাধুরী। হাম আপকে হে কৌন, দিল তো পাগল হে, দিল, রাজা, ইত্যাদিই একের পর এক সুপারহিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। বর্তমানে সাফল্যের চূড়ায় রয়েছেন অভিনেত্রী। তবে শুরুটা এমন ছিল না। অনেক কষ্টে করে হাজারো সমস্যা পেরিয়ে তবেই আজকের দিনের মাধুরী দীক্ষিতকে দেখতে পাই আমরা।
সত্যি বলতে কি বলিউড হোক বা টলিউড বিখ্যাত তারকাদের জীবনের শুরুর দিকটা স্ট্রাগেলে ভরাই থাকে। অভিনেত্রী মাধুরীরও তাঁর ব্যতিক্রম নন। অভিনেত্রী আজও সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা ভুলে যাননি। একসময় একেরপর এক হিট ছবি দেওয়া সত্ত্বেও অনেক ছবির কাজ হাত ছাড়া হয়ে গিয়েছিল অভিনেত্রীর কাছ থেকে। নেই প্রযোজক তাদের দরজা বন্ধ করে নিয়েছিলেন মাধুরী দীক্ষিতের জন্য।
মাধুরীর মতে তার এখনও মনে আছে অভিনয় জগতের শুরুর দিকের কথা। চোখে বড়মাপের অভিনেত্রী হবার স্বপ্ন নিয়ে দূরদর্শনে আবেদন করেছিলেন তিনি। একটি টিভি শোতে অভিনয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন মাধুরী। কিন্তু সেই আবেদন রিজেক্ট হয়ে যায়। যেমনটা জানা যায় অভিনেত্রীর আবেদন দেখার পরেই বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল তাকে। কারণ হিসাবে বলা হয়েছিল দূরদর্শনের জন্য তাকে নেওয়া সম্ভব নয়।
জানা যায় মাধুরী যে সময় আবেদন করেন সেই সময় দূরদর্শনের মূলভবন ছিল দিল্লিতে। সেই সময় দূরদর্শনে নতুন মুখের জন্য খোঁজ চলছিল। ‘বম্বে মেরি হ্যায়’ নামক সিরিয়ালের জন্য এই নতুন চেহারার খোঁজ চলছিল। সিরিয়ালে প্রথমে মাধুরীকে নেবার কথা হলেও মাধুরীকে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সময় অভিনয়ের এমন একটি সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। বলতে গেলেই ক্যারিয়ারের শুরুতেই এটা একটা বড় ধাক্কা ছিল মাধুরীই কাছে।
অবশ্য এরপরেও আরো একবার রিজেকশনের মুখোমুখি হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। সিরিয়ালের রিজেক্ট হবার পর তবে খুব বেশিদিন মন খারাপ করতে হয়নি অভিনেত্রীকে। আশির দশকে সিরিয়াল হাত ছাড়া হবার কিছুদিন পর গোবিন্দ নিহালিনির একটি ছবিতে কাজ করার কথা হয় মাধুরীর। কিন্তু সেটাও হয়নি। এরপর ১৯৮৪ সালে প্রথম ছবি সাইন করেন মাধুরী দীক্ষিত। ছবির নাম ছিল ‘অবোধ’। ছবিটি হিট হয়েছিল। এরপর থেকেই একে একে সিনেমার অফার পেতে শুরু করেন মাধুরী।