গত ২১শে ফেব্রুয়ারীর সকালে নবাব পরিবারে ফের জন্ম নিয়েছে নবাব পুত্তুর। দ্বিতীয় বারেও পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন করিনা কাপুর। মুম্বইয়ের ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন অভিনেত্রী৷ তারপর থেকেই তাকে একঝলক দেখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল গোটা নেটপাড়া। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে দ্বিতীয় বার নিজের মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়ার আনন্দ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী নিজেই। কিন্তু কোনো ভাবেই সন্তানের মুখ প্রকাশ্যে আনেননি তারা।
দুই ছেলেকে নিয়ে মুম্বইয়ের বাড়িতেই রয়েছেন সইফিনা। তৈমুর এবং খুদেকে নিয়েই কাটছে বলিপাড়ার দুই ব্যস্ত অভিনেতা অভিনেত্রীর সময়। এদিন তারই এক ঝলক নিজের ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করলেন নবাব পত্নী করিনা কাপুর।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে তৈমুরকে কোলে নিয়ে সদ্যজাত দ্বিতীয় সন্তানের সঙ্গে খেলছেন সইফ। বাবা এবং দাদা অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে রয়েছেন খুদের দিকে। তবে এবারেও সদ্যজাত-র মুখ প্রকাশ্যে আনেননি করিনা কাপুর। ক্যাপশনে করিনা লিখেছেন, “আমাদের উইকেন্ড এভাবেই কাটছে, আপনারা কেমন আছেন”?
সন্তানের জন্মের প্রায় ২ মাস কেটে গেছে কিন্তু গ্রানি শর্মিলা ঠাকুর এখনও তাকে দেখেননি নাতির মুখ। তৈমুরের জন্মের পর তাকে নিয়ে যেই মাত্রায় চর্চা হয়েছে সেই অভিজ্ঞতা থেকেই দ্বিতীয় সন্তানকে সব কিছুর থেকে আড়ালে আবডালে রেখেছেন সইফিনা। সমগ্র বিশ্বের থেকে নাহয় নিজের ছেলেকে দূরে রাখার সঙ্গত কারণ রয়েছে। কিন্তু শাশুড়ি মা শর্মিলা ঠাকুরও এখনো পর্যন্ত দেখেননি নাতির মুখ, আশ্চর্যের ব্যাপার এটাই।
আসলে এই পুরো ঘটনার জন্য দায়ী মারণ ভাইরাস করোনা। গত বছর থেকে করোনার জেরে ছারখার হয়ে গিয়েছে চারিধার। একদিকে বয়স বাড়ছে শর্মিলা দেবীর অন্যদিকে ঘরে সদ্যজাত। এই কারণেই ঠাকুমা নাতির মধ্যে এই দূরত্ব তৈরি হয়েছে।করিনা, সইফ ও তাঁর দুই সন্তান রয়েছেন মুম্বইয়ের বাড়িতে। আর শর্মিলা আছেন দিল্লির বাড়িতে। এখন মুম্বই যেতে হলে তাঁকে বিমানে যাত্রা করতে হবে যা তাঁর জন্য এই সময় সঠিক হবে না বলেই মনে করেন করিনা ও সইফ।