অত্যন্ত অপমানিত বোধ করে মঞ্চ ছেড়ে চলে গেলেন মিস শ্রীলঙ্কা। কারণ মঞ্চে ঘটে গেছে বিশ্রী ঘটনা। সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ঘোষিত হওয়া বিজয়ী বিউটি পেজেন্টের মাথা থেকে মকুট ছিনিয়ে নিয়ে তা পরানো হল অন্য এক মহিলাকে। মিসেস শ্রীলঙ্কা হিসাবে প্রথমে নাম ঘোষণা করা হয় পুষ্পিকা ডি সিলভার এবং তাঁকে মুকুটও পরানো হয়। কিন্তু কয়েক মুহূর্ত বাদেই সেই মুকুট পুষ্পিতার থেকে ছিনিয়ে নিয়ে প্রথম রানার আপের মাথায় পরানো হয়
তার মাথা থেকে মুকুটটি ছিনিয়ে নেন ২০১৯ সালের মিসেস শ্রীলঙ্কা ক্যারোলিন জুরি। এই ঘটনায় তীব্র অপমানিত বোধ করেন পুষ্পিতা এবং ছেড়ে যান মঞ্চও। ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট লিখে পুষ্পিকা গোটা ঘটনাটি বিশ্লেষণ করে বলেন, ‘আমার মনে হয়, শুধু শ্রীলঙ্কাতেই নয় বিশ্বে এবং বিউটি পেজেন্টের ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথম। খুব অপমানজনকভাবে সকলের সামনে আমার মুকুট ছিনিয়ে নেওয়া হল, আমি এই লেখা লেখার সময়ও মাথা উঁচু করে রয়েছি। আমি গর্বিত এবং আগেও গর্বিত ছিলাম নিজেকে নিয়ে। এটা শুধু একটা ঘটনা মাত্র।’
তিনি এও বলেন, ‘অন্যদিকে আমি ডিভোর্স মহিলা নই। আমি খুব দায়িত্ব সহকারে এটা বলছি আমি ডিভোর্স মহিলা নই। আমি যদি ডিভোর্সি হতাম তবে আমি তার তথ্য জমা দিতাম।’ইউটিউবে কলোম্বো গ্যাজেটের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পুষ্পিতাকে বিজয়ী হিসাবে ঘোষণা করা হয় এবং তাঁকে মুকুট পরিয়ে দেন ক্যারোলিন জুরি।
এর কিছু সেকেন্ডের মধ্যেই ক্যারোলিন মঞ্চে ফের আসেন এবং জানান যে পুষ্পিকাকে প্রতিযোগিতা থেকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে কারণ তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে এবং এই মিসেস শ্রীলঙ্কার খেতাব একমাত্র বিবাহিত মহিলারাই অর্জন করতে পারবেন। ক্যারোলিন বলেন, ‘নিয়ম এটাই তোমাকে বিবাহিত হতে হবে এবং বিচ্ছেদ হলে চলবে না। তাই আমি আমার প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে জানাচ্ছি যে এই মুকুটের অধিকার প্রথম রানার–আপের।’