কমার্শিয়াল ঝাঁচকচকে সেটে বাংলা ছবির পাশাপাশি আজকাল পাল্লা দিয়ে চলছে আর্ট ফিল্ম, স্বাধীন গল্প। এখন আর কেবল বাংলা ছবি মানেই নাচ, গান, বা হাসি ঠাট্টা নয়৷ বাংলার অন্যধারার ছবিতে অভিনয় করেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন টলিউডের ‘শ্রীকান্ত’ ওরফে ঋত্বিক চক্রবর্তী (Ritwick Chakraborty)।
বাংলা থিয়েটার দিয়েই অভিনয়ে হাতিখড়ি অভিনেতার। তারপর ২০০৮ সালে রুদ্রনীল ঘোষ, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ক্রস কানেকশন সিনেমা দিয়ে বড়পর্দায় আসেন অভিনেতা। নায়ক সুলভ চেহারা বলতে যা বোঝায় অর্থাৎ উঁচু লম্বা, গাল ভর্তি দাঁড়ি, বা মাসল এই সবের কোনোটিই নেই। কিন্তু তবুও তার আসল পরিচয় তার অভিনয়েই।
শ্রীকান্ত হোক বা বাবাই দা সব চরিত্রেই তিনি সাবলীল। আবার রোমান্স হোক বা থ্রিলার, গোয়েন্দা হোক বা পুলিশ সমস্ত রোলেই ম্যাজিশিয়ান তিনি।তাই সিনেমা বোদ্ধাদের কাছে খুবই পছন্দের অভিনেরা ঋত্বিক। নগরকীর্তন, শ্রীকান্ত, পরিণীতা, বা শাহজাহান রিজেন্সি সমস্ত ছবিতে তার তুখোড় অভিনয় মন কেড়েছে দর্শকদের। সহজ ভাষায় বলতে গেলে ঋত্বিক হল ‘ওল্ড ওয়াইন ইন নিউ বটল’।
রিল লাইফে অসংখ্য নায়িকার সংস্পর্শে এলেও তার রিয়েল লাইফ নায়িকা হলেন অপরাজিতা ঘোষ দাস। তিনিও টলিপাড়ার চেনা মুখ। ২০১১ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন অপরাজিতা, ঋত্বিক। আর তাদের খুদে একমাত্র ছেলের নাম পান্তা। সাজানো গোছানো সংসার তাদের গাঙ্গুলিবাগানে। দুজনেই শ্যুটিং এর কাজে সারাদিন ব্যস্ত থাকলেও, দিনের শেষে তাদের ভালোবাসার কমতি হয়না।
অপরাজিতার কথায় ঋত্বিক আসলে ফ্যামিলি-সিক এবং আমাদের জীবনে পার্টি বা সোশ্যাল গ্যাদারিং খুব কম। আপনি হয়তো জানলে অবাক হবে বাবাই দার কাছে তেমন কোন ফোন নেই আর থাকলেও তাতে গুঁটি কয়েক ফোন নম্বর সেভ। ব্যাস। অপরাজিতার কথায় ঋত্বিক আসলে ভীষণ বাচ্চা। ছেলের সঙ্গে সময় পেলেই খেলা করে সময় কাটায়। ছেলে পান্তাও নাকি বাবার খুব ফ্যান। লকডাউনে খেয়ে আর ঘুমিয়েই নাকি কাটিয়েছেন অভিনেতা, অপরাজিতার এমনই মত।